জম্মু ও কাশ্মীরে টানা বৃষ্টিপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। ভূমিধস ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। উদ্ধারকাজ চলছে। টানা ৭২ ঘন্টা ধরে চলছে বৃষ্টি। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি থামেনি জম্মুতে।

ফের বিপর্যয় পাহাড়ে। টানা ৭২ ঘন্টা ধরে চলছে বৃষ্টি। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি থামেনি জম্মুতে। যার জেরে তাওয়াই ও চন্দ্রভাগার মতো নদী বিপদসীনার ওপর দিয়ে বইছে। অনেক জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এবার মিলল আরও এক খারাপ খবর। জানা গিয়েছে, বের বড়ল মৃত্যু সংখ্যা।

মঙ্গলবার বৈষ্ণবদেবী যাওয়ার পথে নাম ভূমিধস। তাতে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত অন্তত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অন্য কয়েকটা জায়গা থেকে আরও ৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও তিন জনের খবর এসেছে। এরপর আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। তেমনই আহত ও নিখোঁজের সংখ্যা অনেক বলে জানা যাচ্ছে। বৈষ্ণবদেবী মন্দিরের কাছে ধস নেমেছে। সেখানেই কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

এদিকে এক নাগারে বৃষ্টি, ভমি ধস ও দুর্গম পথের কারণে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। শুধু জম্মু নয়, গোটা উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরাখণ্ড থেকে হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব থেকে দিল্লি, রাজস্থান থেকে গুজরাট বহু জায়গায় প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই বৃষ্টি চলবে আগামী পাঁচ দিন।

এদিকে ডোডা জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা হানের জেরে বন্ধ করতে হয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। একাধিক জায়গায় নতুন করে ভূমিধস নেমেছে। তারই মধ্যে বাতিল হয়েছে ১৮টি ট্রেন। সেগুলোর মধ্যে সাতটি ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল মাতা বৈষ্ণোদেবী যাত্রার বেসক্যাম্প কাটরা থেকে। উধমপুর থেকে ছাড়া দুটি ট্রেন ও জম্মু থেকে ছাড়া একটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কাটরা এবং উধমপুরগামীও ট্রেন বাতিল করে দিয়েছে রেল। এদিকে চাক্কি নদীর তীর ভেঙে ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রেলযোগাযোগ। পাঠানকোট ক্যান্টনমেন্ট থেকে কন্দরোরির মধ্যে ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেখান থেকে ফেরত আসতেও সমস্যা হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে ইতিমধ্যে খবর মিলছে ৩০ জনের দেহ। নিখোঁজ বহু মানুষ। এই মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। 

Scroll to load tweet…