Jammu and Kashmir Police: জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বাধীন সাক্ষীদের উপস্থিতিতে যথাযথ আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করে তল্লাশি চালানো হয়েছে। 

Jammu and Kashmir Police: পহেলগাঁও হামলার পরে রীতিমত কড়া হাতে সন্ত্রাস দমনের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সন্ত্রাসবাদকে কোনও ভাবেই মদত দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অবস্থায় হামলার ৬ দিনের মাথায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ৩৬ জন সদস্যের বাড়িতে একযোগে তল্লাশি অভিযান চালান জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। শ্রীনগরের একাধিক স্থানে চালান হয় তল্লাশি অভিযান।

নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ৩৬ জন সন্ত্রাসবাদী সহযোগীর বাসভবনে শ্রীনগর পুলিশ একাধিক স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। অবৈধ কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এর অধীনে দায়ের করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য প্রদান আর আর্থিক সাহায্য় দেওয়ার একটি চক্র তৈরি হয়েছে বলেও অনুমান তদন্তকারীরে। সেই চক্রটিও ভেঙে দেওযার চেষ্টা করছে পুলিশষ একটি পুলিশ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, পুলিশ জাভেদ আহমেদ নাজার, আদিল আহমেদ সোফি, শাব্বির আহমেদ গনি, শেখ ফয়সাল রশিদ, মোমিন জাভারি গোজরি, রাইস আহমেদ নাজার, মুবাশির রশিদ, আশিক হুসেইন ভাট, ফারুক আহমেদ দার, বুরহান আহমেদ শাহ, আলতাফ আহমেদ দার, উমর হামিদ শেখ, তাওহীদ আহমেদ (PSA এর অধীনে), ইলিয়াস আহমেদ সঙ্গীন, মনজুর আহমেদ ভাট, তাউস আহমেদ গড্ডা, জুনাইদ আহমেদ প্যারি, মেহরাজ উদ্দিন খান, মুসাভির নবী ভাট, আরশ কৌল, শাকির ফারুক ভাট, বাশারত আহমেদ বাজাজ (PSA এর অধীনে), ফুরকান নাজির, জুলফিকার আহমেদ নাজার, মোমিন আহমেদ শেখ, কাসির আলতাফ হাকিম, মনজুর আহমেদ দানপোশ, সাজাদ আহমেদ গিলকার, আশিক হুসেইন রাঙ্গরেজ, আকিব লতিফ ওয়ানি, ফারুক আহমেদ ওয়ানি, সৈয়দ আহমেদ পারিমু, সৈয়দ আসরার কার্দি, জেসিয়া নাজির এবং বাশির সুলতান ভাটের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বাধীন সাক্ষীদের উপস্থিতিতে যথাযথ আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করে তল্লাশি চালানো হয়েছে। দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যে কোনও ষড়যন্ত্রমূলক বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের জন্য প্রমাণ সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অস্ত্র, নথিপত্র, ডিজিটাল ডিভাইস ইত্যাদি জব্দ করার জন্য তল্লাশি চালানো হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বাস্তুতন্ত্র ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে এই ধরনের জাতিবিরোধী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।

শহরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে শ্রীনগর পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হিংসা, বিশৃঙ্খলা বা বেআইনি কার্যকলাপের এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে কোনও ব্যক্তিকে আইনের অধীনে কঠোর আইনি পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এর আগে ২৬ এপ্রিল, শ্রীনগর পুলিশ ৬৩ জন ব্যক্তির বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছিল।