সংক্ষিপ্ত

  • ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে হামলা
  • জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছিল কমপক্ষে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের
  • ফের সেরকম হামলারই ছক কষেছিল উপত্যকার ২টি জঙ্গিগোষ্ঠী
  • গাড়ি থেকে ৪৫ কেজি আইইডি উদ্ধার করে তা বানচাল করল বাহিনী

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালান হয়েছিল। শহিদ হয়েছিলেন সিআরপিএফের কমপক্ষে ৪০ জন জওয়ান। গোয়েন্দাসূত্র দাবি করা হচ্ছে, ২০১৯ সালের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি করার পরিকল্পনা করেছিল হিজবুল মুজাহিদিন। তবে বড়সড় সেই নাশকতার ছক রুখে দিয়েছে সেনা। বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ কাশ্মীরের সেই পুলওয়ামাতেই একটি স্যান্ট্রো গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫ কেজি আইইডি। নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে গাড়ি  সমেত আইইডি-কে ধ্বংস করেছে  বাহিনী। এবার সেই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির মালিক হিজবুল মুজাহাদিন জঙ্গি হিদায়তুল্লা মালিককে সনাক্ত করল বাহিনী। জানা যাচ্ছে দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়া জেলার শতরপোরা গ্রামে হিদায়তুল্লার বাড়ি।

 

 

গত বছর ওই কাশ্মিরী যুবক হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়। গত জুলাই থেকে একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে হিদায়তুল্লা জড়িত। বারবার উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে সে। এমনই জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

আরও পড়ুন: সেনার তৎপরতায় এড়ান গেল বড়সড় বিপদ, পুলওয়ামায় আইইডি বিস্ফোরণের ছক বানচাল করল বাহিনী

গোপন সূত্র মারফত নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খবর এসেছিল দুটি জঙ্গি সংগঠন  জইশ ই মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিন মিলে পুলওয়ামায় ফের হামলার ষড়য়ন্ত্র করছে। তার পরেই  গত কয়েকদিন ধরেই নাকা চেকিং জোরদার করা হয়েছিল এলাকায়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে রাজপোরা এলাকার আয়গুণ্ডে ৪৫ কেজি আইইডি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি আটক করে সেনা। 
 চালক অবশ্য রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। 

 

 

পুলিশ জানিয়েছে, গড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বরও ভুয়ো ছিল। কাঠুয়া জেলায় থাকা এক বিএসএফ জওয়ানের বাইকের নম্বর প্লেট খুলে ওই গাড়িতে লাগিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই জওয়ানের পোস্টিং শ্রীনগরে। বৃহস্পতিবার সকালে একটি চেকপয়েন্টে গাড়িটিকে থামতে বলা হয়। কিন্তু তা না-শুনে গতি বাড়িয়ে ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক। পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানিয়েছেন, "নিরাপত্তা রক্ষীরা গুলি চালাতে শুরু করে। চালক পালাতে সক্ষম হয়। কিন্তু আইইডি বোঝাই গাড়িটা ফেলে যায় সে। সম্ভাব্য হামলার কথা আমরা গোয়েন্দাদের থেকে জানতে পেরেছিলাম। তাই আমরা আইইডি বোঝাই গাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম।"

আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে ভুয়ো খবর, দাবানলে জ্বলছে না দেবভূমি দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী

গোয়েন্দাদের অনুমান, পাকিস্তানের জইশ গোষ্ঠীর কম্যান্ডার ইসমাইল ওরফে ফৌজি ভাইয়ের নেতৃত্বেই এই  জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল উপত্যকার হিজবুল গোষ্ঠী। ফৌজি ভাই আবার  সম্পর্কে ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার ছক কষা জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাগ্নে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে বিস্ফোরক বোঝাই স্যান্ট্রো গাড়ির মালিক হিদায়তুল্লার ভাইকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে সূত্রের খবর।