সংক্ষিপ্ত

  • জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আবার এনকাউন্টার 
  • এনকান্টারে নিহত পাক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গির 
  • আত্মসমর্পণ করে এক জঙ্গি 
  • বিটেকের ছাত্র ছিল ধৃত জঙ্গি 

এনকাউন্টার চলার সময় নিরাপত্তার বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করল বিটের ছাত্র তথা এক হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। সোমবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল  পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপুরা। এই এনকাউন্টারেই নিহত হয়েছে আত্মসর্পণকারী জঙ্গির এক সঙ্গী। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে আত্মসমর্পণের পুরো বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। 

আত্মসমর্পণকারী হিজবুল জঙ্গির নাম সাকিব আকবর ওয়াজা। সে জানিয়েছে চলতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে নাম লিখিয়ে ছিল। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী তাঁকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়ায় সে কৃতজ্ঞ।  পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে গোপন সূত্রে খরব পেয়ে সোমবার সন্ধ্যার সময় তারা হানা দিয়েছিলেন পুলওয়ামার অবন্তিপোরায়। তাদের কাছে খবর ছিলে সেখানে কিছু জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। অবন্তিপোরায় পৌঁছানোর পরই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় শুরু হয়। আর সেই গুলির লড়াইয়ে প্রাণ যায় ওয়াজার সঙ্গী শোকার আহমদের। 

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে এনকাউন্টারে সময়ই পুলিশের একটি বিশেষ দল জানতে পারে জঙ্গি দলে রয়েছে ওয়াজা। যাকে জোর করে সন্ত্রাসবাদী দলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কারণ ওয়াজা পঞ্জাবের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিটেকের ছাত্র। গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। তার বাড়ি বাটাগুণ্ডায়। পুলিশের একটি বিশেষ দল ওয়াজার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয় ওয়াজাকে। প্রায় ৩৫ মিনিট কথাবার্তার পর ওয়াজা আত্মসমর্পণে রাজি হয়। একটি পিস্তল আর হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে সে আত্মসমর্পণ করে। এনকাউন্টারের স্থান থেকে পুলিশ আরও একটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করেছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, ওয়াজার সঙ্গে শোকার আহমেদ বেশ কয়েক বছর ধরেই হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল। পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণও নিয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের আইজিপি কুমার জানিয়েছেন, ওয়াজা চতুর্থ জঙ্গি যে এনকাউন্টার চলার সময় সারসরি আত্মসমর্পণ করে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনা বাহিনী স্থানীয় যুবকদের জন্য আত্মসমর্পণের নীতি শুরু করেছে। যেসব যুবকদের জোর করে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখান হয় তাদের পরিবারের সদস্যদের এনকাউন্টার সাইটে ডাকা হয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জঙ্গিদের সরাসরি কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়। আর সেই সময়ই জঙ্গিরা চাইলে আত্মসমর্পণ করতে পারে। আর তারপরই আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।