সংক্ষিপ্ত

এক বাঙালি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। নাম ছিল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মীনাক্ষী এই কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ করছিলেন। দুজনেই বন্ধু হয়ে যান। বাঙালী এই কন্যাকে রীতিমত পছন্দ করতেন যশবন্ত। 

কলেজের আরও অনেকের মতোই এক ঝলকে সেই মেয়েটিকে দেখে প্রেমে পাগল হয়েছিল ছেলেটা। বেড়ে গিয়েছিল রক্তচাপ, বেড়েছিল বুকের ধুকপুকানি। সেদিনের সেই ছেলে আজকের যশবন্ত সিনহা। তিনিও ভালোবেসে মজনু হয়ে গিয়েছিলেন। যশবন্ত সিনহা পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় রীতিমতো প্রেমে পড়েছিলেন। এক বাঙালি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। নাম ছিল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মীনাক্ষী এই কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ করছিলেন। দুজনেই বন্ধু হয়ে যান। বাঙালী এই কন্যাকে রীতিমত পছন্দ করতেন যশবন্ত। তিনি তখন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র। যশবন্ত শুধু মীনাক্ষীর সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়, তাঁকে তাঁর জীবনসঙ্গী করতে চেয়েছিল সে।

যশবন্ত সিনহার প্রেম প্রত্যাখ্যান করেছিলেন মীনাক্ষী

পড়াশোনায় টপার মীনাক্ষী খুব সুন্দরী ছিল। যশবন্ত সিনহা তার প্রেমে পড়েছিলেন। সেজন্য তিনি মীনাক্ষীকে লাইব্রেরীতে কিছু না ভেবেই প্রেমের প্রস্তাব দেন। সঙ্গে ছিল বিয়ের প্রস্তাবও। কিন্তু তার প্রস্তাবের উত্তর হ্যাঁ পাওয়া যায়নি। যশবন্ত সিনহার প্রস্তাবে হতবাক মীনাক্ষী। না বলে একই সঙ্গে বললেন, 'তুমি আমাকে একটা গোলমেলে ফেলেছ। এটা কিভাবে সম্ভব-আমি বাঙালি আর তুমি বিহারী। আমাদের সংস্কৃতি আলাদা। পরিবার রাজি হবে না।আমাকে ভুলে যাও। 

লেখক অজয়​কে সিং যশবন্ত সিনহার জীবনীতে এটি উল্লেখ করেছেন। বইটিতে লেখা আছে, না বলার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখার কথা বলেছিলেন মীনাক্ষী। কিন্তু হৃদয় ভাঙার পর যশবন্ত সিনহা কয়েকদিন উদভ্রান্তের মত হয়ে ঘুরতে থাকেন। তবে মীনাক্ষীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা।

মীনাক্ষীর বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা

কয়েক বছর পর সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে মীনাক্ষীর বিয়ে ঠিক হয়। সুজিত ছিলেন পাটনা কলেজের লেকচারার। শুধু তাই নয়, তিনি যশবন্ত সিনহার কলেজের সিনিয়রও ছিলেন। মীনাক্ষী তার বোনের হাত থেকে যশবন্ত সিনহাকে তার বিয়ের কার্ড পাঠিয়েছিলেন এবং তাকে বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই বিয়েতে যুক্ত ছিলেন যশবন্ত সিনহা।

উভয়ই পথ বিচ্ছিন্ন ছিল

এরপর দুজনের জীবনই ভিন্ন পথে চলে। যশবন্ত সিনহা রাজনীতিতে নামলেন আর মীনাক্ষী হারিয়ে গেলেন সাহিত্য জগতে। দুজনের মধ্যে কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। একদিন যশবন্ত সিনহা এক সাধারণ বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারেন যে মীনাক্ষীর স্বামী সুজিত মারা গেছেন। এরপর তিনি মীনাক্ষীর সঙ্গে দেখা করতে যান। স্বামীর মৃত্যুর পর মীনাক্ষীও বেশিদিন বাঁচতে পারেননি।

যশবন্ত তার জীবন নীলিমার সাথে কাটিয়েছেন

অনেকেই জানেন যশবন্ত সিনহা নীলিমাকে বিয়ে করেছেন। তিনি হিন্দি সাহিত্যের অন্যতম লেখিকা। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এক ছেলে জয়ন্ত সিনহা বিজেপির সাংসদ। একই সঙ্গে সুমন্ত সিনহা ব্যবসায়ী, মেয়ে শর্মিলা মায়ের মতোই লেখিকা।