সংক্ষিপ্ত
গত ২৪ ঘন্টায় কাশ্মীরে ব্যাপক তুষারপাত
জাতীয় সড়কে আটকে পড়েছিলেন ১০ জন অসামরিক ব্যক্তি
তাঁদের নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালো সেনা
কাশ্মীরের বেশ কিছু জেলার জারি করা হয়েছে তুষারধসের সতর্কতা
দীপাবলির দিন ভারতীয় সেনার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, জওয়ানরা শুধু দেশকে সুরক্ষাই দেন না, বিপর্যয়ের সময় মানুষকে উদ্ধারও করে থাকেন। দীওয়ালির আগের রাতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের বর্বরোচিত আক্রমণের কড়া জবাব দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। রবিবার রাতে কাশ্মীর উপত্যকায় তাঁদের দেখা গেল উদ্ধারকারীর ভূমিকায়।
মৃত্যুর হাতছানি
রবিবার রাত থেকেই থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বেশ কিছু অংশ ভারী তুষারপাতে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আর তারমধ্যেই চিংগাম যাওয়ার পথে, সিন্থান পাসের কাছে এক জায়গায় জাতীয় সড়ক ২৪৪-এর উপর আটকে পড়েছিলেন দশজন অসামরিক ব্যক্তি। তীব্র ঠান্ডায় রাতের অন্ধকারে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে তাঁদের উদ্ধার করলেন ভারতীয় সেনা ও জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের সদস্যরা।
ত্রাতা যখন সেনা
ওই ১০ নাগরিকের মধ্যে আবার দুইজন মহিলা ও একটি শিশুও ছিল। মাঝরাস্তায় প্রতিকূল আবহাওয়ায় আটকে পড়ে তাঁরা সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন ভারতীয় সেনার সঙ্গে। রাত্রের ঘুটঘুটে অন্ধকার ও হিমাঙ্কের নিচের কনতনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জওয়ানরা। উদ্ধারের পর ওই অসামরিক নাগরিকদের সিন্থান ময়দানে নিয়ে এসে খাবার ও আশ্রয় দেওয়া হয়। সেনারা সময়মতো পৌঁছতে না পারলে ঠান্ডাতেই মৃত্যু হতে পারেত ওই ১০ অসামরিক নাগরিকের।
বরফের চাদরে ঢেকেছে উপত্যকা
গত ২৪ ঘন্টায় গুলমার্গ ও পহেলগামের মতো কাশ্মীর উপত্যকার উচ্চ পার্বত্য এলাকাগুলিতে নতুন করে তুষারপাত হয়েছে এবং বেশিরভাগ সমতলে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর তার ফলেই কাশ্মীর উপত্যকার তাপমাত্রা হঠাৎ করেই অনেকটা কমে গিয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে মঙ্গলবারের পর বৃষ্টি ও তুষারপাত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এখানেও লড়ছে সেনা
তবে তার আগে পর্যন্ত কাশ্মীরে খারাপ আবহাওয়া জারি থাকবে। এই ফলে বিভিন্ন জায়গায় তুষার ধস নামতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কুপওয়ারা ও বান্দিপোড়া, গান্দেরবাল, এবং বারমুলা জেলার মাঝারি থেকে কম মাত্রা তুষাড়ধসের সতর্কতা রয়েছে। তবে এই ব্যাপক তুষারপাতের মধ্যেও কাশ্মীর উপত্যকাকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে চেষ্টার অন্ত রাখছে না ভারতীয় সেনা। জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়ক, মোগল রোড, শ্রীনগর-লে মহাসড়কের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গিয়ে আটকা পড়েছিল বেশ কয়েকটি ট্রাক। সেনার পক্ষ থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই রাস্তাগুলি আংশিকভাবে চালু করা হয়েছে।