সংক্ষিপ্ত

  • দশম ও দ্বাদশের সেরাকে সংবর্ধনা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
  • একেবারে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিলেন মন্ত্রী
  • শিক্ষামন্ত্রী নিজেও ২৫ বছর পর স্কুলে ভর্তি হয়েছেন
  • ৫৩ বছর বয়সে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন

বোর্ড পরীক্ষায় সেরা হলে এতদিন স্মরক ও নানা পুরস্কার দেওয়ার বহু উদাহরণ দেখা গিয়েছে। কিন্তু দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির সেরা দুই পড়ুয়াকে সংবর্ধনা জানাতে গিয়ে নজির গড়ে ফেলল ঝাড়খণ্ড সরকার। দুই পরীক্ষার্থীকেই বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিলেন ঝাড়খণ্ডের স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী জগন্নাথ মাহাতো। রাজধানী রাঁচির ঝাড়খণ্ড এডুকেশন কাউন্সিল চত্বরে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেএসি বোর্ড পরীক্ষায় সেরাদের মার্কশিট প্রকাশ করে। দেখাযায় দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষায় সেরা হয়েছেন সারিয়া গিরিডির এসআরএসএসআই হাইস্কুলের   অমিত কুমার। ঝাড়খণ্ডের তিনটি বিভাগের পরীক্ষাতেই সেরা নম্বর ছিল এই  ছাত্রের দখলে। ৫০০ নম্বরের মধ্যে অমিত কুমার পেয়েছেন ৪৫৭ নম্বর। 

অন্যদিকে দ্বাদশ শ্রেণির জেএসির বোর্ড পরীক্ষায় সেরা হন নেতারহাট রেসিডেন্সিয়াল কলেজের মনীষ কুমার কাটিহার। মনীষ ৫০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪৯০ স্কোর করেন। বুধবার ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ 

বিদ্যালয়ের শিক্ষামন্ত্রী এবং ঝাড়খন্ডের বিধানসভার  স্পিকার রবীন্দ্র নাথ মাহাতো অমিত  ও মনীষের হাতে নতুন গাড়ির চাবি তুলে দেন। মন্ত্রী জানান, যে দাবি তিনি করেছিলেন তা আজ পূর্ণ করলেন। ঝাড়খণ্ডের এই শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য আগেই নজির গড়েছিলেন। নিজের শিক্ষাহত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ৫৩ বছর বয়সে নতুন করে পঠনপাঠন শুরু করেছেন তিনি।

 

 

গত আগস্টে  একাদশ শ্রেণিতে তিনি নাম নথিভুক্ত করেছেন বোকারোর একটি সরকারি স্কুলে। শুধু নাম লেখানোই নয়, ক্লাসেও যাবেন বলে জানিয়ে মন্ত্রীর বার্তা দেন, শেখার কোনও বয়স হয় না। ২০১৯-এর শেষের দিকে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় ফেরে শিবু সরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী হন তাঁর ছেলে হেমন্ত সোরেন। ডুমরি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত কৄষক পরিবারের ছেলে জগন্নাথ মাহাতোকে শিক্ষামন্ত্রী করেন হেমন্ত। কিন্তু জগন্নাথ মাধ্যমিক পাশ। তাই নিয়ে বিরোধীরা লাগাতার আক্রমণ করতে থাকেন। ১৯৯৫ সালে মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন জগন্নাথ। বিরোধীদের কটাক্ষে অতিষ্ঠ হয়ে মাধ্যমিক পাশের ২৫ বছর পরে ৫৩ বছর বয়সে ফের স্কুলের পাঠ নিতে তিনি ভর্তি হয়েছেন  বোকারোর নাবাডিতে দেবী মাহাতো স্মারক ইন্টার কলেজে। পড়ছেন কলা বিভাগে। জগন্নাথ  মাহাতো প্রতিজ্ঞা করেছেন, পড়াশোনা শেষ করবেনই। চাষবাসের কাজ আর জনসেবার ফাঁকে ক্লাসও করবেন। তাঁর কথায়, "পড়াশোনা এবং শিক্ষার কোনও বয়স হয় না। এই ভাবেই সাধারণ মানুষকে আমি অনুপ্রেরণা দিতে চাই।’’