সংক্ষিপ্ত

কিশোরীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন। ১৪৪ ধারার থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই ঝাড়খণ্ডে সম্পন্ন হল নিহত অঙ্কিতা কুমারীর শেষকৃত্য। 

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন। ঝাড়খণ্ডের দুমকায় হাড়হিম করা ঘটনা। আগুন লেগে শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় ওই কিশোরীকে ভর্তি করা হয়েছিল দুমকার ফুলো জানো মেডিক্যাল কলেজে। পরে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় রাজধানী রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু, চূড়ান্ত তৎপরতা সত্ত্বেও বাঁচানো গেল না তাঁকে, রবিবার রাতে রাঁচিতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঝাড়খণ্ডের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং বিজেপির সহযোগী সংগঠনগুলি রবিবার রাত থেকেই দুমকাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে। দুমকার ওই তরুণীকে অভিযুক্ত যুবক আগেও হুমকি দিয়েছিলেন বলে সোমবার দাবি করেছেন বিরোধী নেতা বাবুলাল। তাঁর দাবি, ‘‘ওই তরুণী ও তাঁর পরিবার অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু দুমকার ডিএসপি নূর মুস্তাফা এফআইআর দায়ের না করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।’’

উত্তেজনার প্রভাবে দুমকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। সেই থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার বিকেলে মৃত অঙ্কিতা কুমারীর শেষকৃত্য হল দুমকায়। ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত তরুণীকে খুনের অভিযোগে ধৃত যুবক শাহরুখ এবং তার সঙ্গীর দ্রুত আইনানুগ বিচার হবে।


সম্প্রতি, নূপূর শর্মার মন্তব্যের পর রাঁচীতে তীব্র বিক্ষোভ হয়েছিল। সেসময় পুলিশের গুলিতে আহত বিক্ষোভকারীদের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দিল্লি পাঠানো হয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ, দুমকার তরুণীর ক্ষেত্রে সেই ‘তৎপরতা’ দেখায়নি ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের সরকার। তরুণী দুমকা মেডিক্যাল কলেজে এবং রাঁচীতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাননি বলেও পদ্ম শিবিরের অভিযোগ।

২৩ অগস্টেই মূল অভিযুক্ত শাহরুখকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সোমবার তার সঙ্গী ছোটুকে গ্রেফতার করা হয়। দুমকার পুলিশ সুপার অম্বর লাকড়া আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করে বিচারের কাজ হবে। উচ্চস্তরের পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনার তদন্তের কাজের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।’’