বুধবারও শান্ত হয়নি উত্তর-পূর্ব দিল্লি দোষীদের শাস্তি চেয়ে পড়ুয়াদের জমায়েত কেজরির বাড়ির সমানে জমায়েত ছাত্র-ছাত্রীদের পরিস্থিতি সামলাতে জল কামান ব্যবহার পুলিশের

গত ৭২ ঘণ্টা ধরে লাগাতার জ্বলছে রাজধানী। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার বলি হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। রাজধানীতে শান্তি ফেরাতে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মধ্যরাতে মুখ্যমন্ত্রী আরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিল শত শত পড়ুয়া। যাদের মধ্যে জেএনইউএর পড়ুয়া থেকে ছিল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্র-ছাত্রীরা। হাজির হয়েছিল জামিয়া সমন্বয় কমিটির অ্যালমনি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও। মধ্যরাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে রাজধানীতে শান্তি ফেরাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। 

Scroll to load tweet…

আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করে রাজধানীতে হিংসার বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার দাবি তুলেছিল মধ্যরাতে। কিন্তু ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ছাত্রদের সেই জমায়েত সরিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। পড়ুয়াদের ভিড় ছাত্রভঙ্গ করতে জলা কামানও ব্যবহার করে দিল্লি পুলিশ। জেএনইউ ও জামিয়ার পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, তাদের কয়েকজন সঙ্গীও আটক করে সিভিল লাইন্স থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। 

Scroll to load tweet…

উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে যাতে দ্রুত শান্তি ফেরে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে কেজরির কাছে আবেদন জানিয়েছে পড়ুয়ারা। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় শান্তি ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী যাতে স্থানীয় বিধায়কদের নিয়ে পথে নামেন সেই আবেদনও তোলা হয়েছে ছাত্রদের পক্ষ থেকে। 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে অব্যাহত মৃত্যু মিছিল, কেন্দ্রের কাছে সেনা চাইলেন কেজরিওয়াল

আরও পড়ুন: পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে দিল্লি পুলিশের, তীব্র তিরস্কার শীর্ষ আদালতের

এদিকে বুধবারও পুরোপুরি শান্ত হয়নি রাজধানী। মৌজপুর, ব্রহ্মপুরী, ভজনপুরা চক, গোকুলপুরী সহ নানা এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।