সংক্ষিপ্ত

  • একপক্ষকালেরও বেশি সময় ধরে জেএনইউ-তে ধর্মঘট করছিলেন শিক্ষার্থীরা
  • হস্টেলের মাত্রাতিরিক্ত ফি বৃদ্ধির মতো বিষয়ের প্রতিবাদ করছিলেন তাঁরা
  • শেষ পর্যন্ত তাঁদের অনড় মনোভাবেরই জয় হল
  • চাপের মুখে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসন, প্রবল চাপের মুখেও নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। আর তাদের সেই জেদের কাছেই নতি স্বীকার করতে হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। বুধবার বিকেলে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ বর্ধিত হস্টেল ফি আংশিকভাবে কমানোর কথা ঘোষণা করল। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু এরপরেও ছাত্রছাত্রীদের ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছে জেএনইউএসইউ।

এদিন মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতরের শিক্ষা সচিব আর সুব্রমণিয়ম জানান, জেএনইউ-এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল হস্টেলের বেতন বৃদ্ধি-সহ বেশ কিছু বিধি আংশিকভাবে প্রত্যাহার পরিবর্তন করতে সম্মত হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে  পিছিয়ে থাকা ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি পৃথক প্রকল্প চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।

গত সোমবার জেএনইু ক্যাম্পাসের বাইরে চরমে পৌঁছেছিল এই বিক্ষোভ। দফায় দফায় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। অবস্থা সামলাতে এমনকী জল কামানও চালানো হয়। ওইদিনই ছাত্র সংসদের প্রতিনিদিদের সঙ্গে কতা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল 'নিশঙ্ক'। তিনি দ্রুত ছাত্রাছাত্রীদের সমস্যার সমাধান বের করার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

জেএনইউ-এ হস্টেলের একটি সিঙ্গল রুমের বেতন ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সম্প্রতি করা হয়েছে ৩০০ টাকা। অর্থাৎ এক ধাক্কায় ফিস বেড়েছে ২৯০০ শতাংশ। একই ভাবে ডাবল রুমের ভাড়া ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০০ টাকা। সিকিওরিটি ডিপোজিটের পরিমাণ ৫,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০০ টাকা।

এদিনের ঘোষণার পরও অবশ্য ছাত্রছাত্রীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে নারাজ। জেএনইউ কর্তৃপক্ষের ঘোষণার উপর বিশ্বাস রাখতে পারচেন না তাঁরা। বলছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁদের সামনে মিথ্যা আশ্বাসের ললিপপ ঝোলাতে চাইছে। তাই তাদের ধর্মঘট চলবেই।