সংক্ষিপ্ত
- ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশের অর্থনীতিতেই এখন মন্দা চলছে
- একই সঙ্গে গোটা বিশ্বে চরম হুমকি দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন
- এই দুই বিষয় নিয়েই শলা পরামর্শ করতে ভারত সফরে এলেন প্রিন্স চার্লস
- ব্রিটিশ রাজপুত্র এদিন নয়াদিল্লির এক গুরুদ্বারেও যান
লাফিয়ে লাফিয়ে নামছে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার। ব্রেক্সিট ধাক্কায় ব্রিটিশ অর্থনীতির জাহাজও টলমল করছে। আর জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াল ভবিষ্যত হুমকি দিচ্ছে দুই দেশকেই। এরই মধ্যে এই দুই বিষয় নিয়ে শলা পরামর্শ করতে দুদিনের জন্য ভারতে এলেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স চার্লস।
দুদিনের সফরে তিনি প্রথমেই যান নয়াদিল্লির মৌসম ভবনে। সেখানে ভারতীয় ভূতত্ত্ব বিভাগের আবহাওয়াবিদদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সেগুলির মোকাবিলা বিষয়ে সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে দুর্যোগের প্রতিরোধক ব্যবস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা যায়, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলিকে মোকাবেলা করা যায় সেই প্রশ্নও করেন ব্রিটিশ রাজপুত্র। বৈঠকের পর মৌসম ভবন চত্ত্বরে একটি বৈদ্যুতিক অটোরিক্সাও চড়েন প্রিন্স চার্লস।
মৌসম ভবন থেকে বেরিয়ে তিনি নয়াদিল্লির বাংলা সাহিব গুরুদ্বারে যান। সেখানে রীতি মেনে মাথা ঢেকে প্রবেশ করেন তিনি। একদিন আগেই সিখ ধর্মের প্রধান ধর্মগুরু গুরু নানকজির জন্মদিবস গিয়েচে। শিখ ধর্মের প্রতিটি মানুষ এখন উৎসবের মেজাজে রয়েছেন। সেই উৎসবের শরিক হন প্রিন্স চার্লস-ও। গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নেন শিখ ধর্মীয় আচারের খুঁটিনাটি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রিন্স চার্লস মুম্বইয়ে ভারতীয় ব্যবসা জগতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। টেকসই বাজার গড়ে তুলতে তাঁদের মতামত জানবেন ব্রিটিশ রাজপুত্র। গত সেপ্টেম্বরে, তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সঙ্গে যৌথভাবে সাস্টেইনেবল মার্কেট (টেকসই বাজার) কাউন্সিল চালু করেছিলেন। এই বিষয়ে দিনের পরবর্তী সময়ে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও আলোচনায় মিলিত হবেন প্রিন্স চার্লস।