সংক্ষিপ্ত
- জেএনইউ কাণ্ডের তদন্তে আরও এগোল দিল্লি পুলিশ
- এক সূত্রের খবর 'ইউনিটি এগেনস্ট লেফট' গ্রুপের ৩৭ জনকে সনাক্ত করা গিয়েছে
- হিংসার ঘটনায় জড়িত আরও চার সন্দেহভাজনকেও সনাক্ত করা হয়েছে
- সব মিলিয়ে এই ঘটনায় চিহ্নিত সন্দেহভাজনদের সংখ্যা পৌঁছল ৫০-এ
দিল্লি পুলিশ-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) 'ইউনিটি এগেনস্ট লেফট' বা 'বামের বিরুদ্ধে ঐক্য' নামের হোয়াটটসঅ্যাপ গ্রুপের ৬০ জন সদস্যের মধ্যে ৩৭ জনকে সনাক্ত করেছে। এছাড়াও হিংসার ঘটনায় জড়িত আরও চার সন্দেহভাজনকে সনাক্ত করা গিয়েছে। শুক্রবার পেরিয়ার হস্টেলে হামলার ঘটনায় ৯ জনকে চিহ্নিত করেছিল তারা। ফলে সব মিলিয়ে এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এ পৌঁছল।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল পেরিয়ার হস্টেলে হামলার ঘটনায় জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী গোষ-সহ মোট ৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জন ছিলেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্য আর বাকি দুইজন আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র। ডিসিপি জয় তিরকি জানিয়েছিলেন, চিহ্নিত করা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়নি। আপাতত তাদের নোটিশ দেওয়া হবে। সেখানে তারা কী করছিলেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
তার আগে এই সপ্তাহের শুরুতে, দিল্লি পুলিশ জনসাধারণের কাছে আবেদন করেছিল, জেএনইউ ক্যাম্পাসে গত রবিবারের হিংসার ঘটনার সম্পর্কিত ছবি, ভিডিও ফুটেজ বা অন্য কোনও তথ্য থাকলে, তা তাদের পাঠাতে।
এদিকে, জেএনইউ-এর তিন অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫ জানুয়ারির হিংসার সম্পর্কে তথ্য, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য আইনি নির্দেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন। সেই আবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল এবং অ্যাপল সংস্থার থেকে ওই দিনের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত মেসেজ, ছবি, ভিডিও সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিক আদালত। একই সঙ্গে 'ইউনিটি এগেইনস্ট লেফট' এবং 'ফ্রেন্ডস অব আরএসএস' নামে দুটি হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপে ছড়ানো সমস্ত বার্তা ও এই গ্রুপ দুটির সদস্যদের ফোন নম্বর আদায় করার আবেদনও করা হয়েছে।