সংক্ষিপ্ত
যোশীমঠের ক্ষয় অব্যাহত। ধীরে ধীরে খালি করা হচ্ছে এলাকা। আজ বিশেষজ্ঞ দলের এলাকা পরিদর্শনের কথা রয়েছে। এই অবস্থায় সরকার এই এলাকা বাঁচাতে নতুন করে চেষ্টা শুরু করেছে।
ভূগর্ভে তলিয়া যাচ্ছে বদ্রীনাথ ধাসের প্রবেশ দ্বার তথা হিন্দুদের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র যোশীমঠ। একনও পর্যন্ত ৬০০টিরএ বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ নাগরিকই ঘরছাড়া। ভিটেমাটি হারানোর পাশাপাশি তাদের প্রবল শীতের সঙ্গেও লড়াই করতে হচ্ছে। তবে সবহারাদের পাশে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের পুস্কর সিং ধামির সরকার। যোশীমঠ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ৭০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করেছে। বাকিদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। রবিবার জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে গৃহস্থালীর সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই যোশীমঠ কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যয়ারের বৈঠক করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে আরও তাড়াতাড়ি নির্ধারণ করা যায় তার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আরও ৯০টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির যোশীমঠ পরিদর্শনের কথা রয়েছে। এই প্রতিনিধি দল ডুবন্ত হিমালয় শহর থেকে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করবে।
যোশীমঠে প্রায় সাড় চার হাজাপ বাড়ি রয়েছে। যারমধ্যে ৬১০টিতে বিশাল ফাটল দেখা গেছে। তারপরই বাড়িগুলি বসবাসের অনুপোযোগী বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য প্রশাসন। যোশীমঠের একটি একটি এলাকার নিচ দিয়ে ঘোলা জল বেরিয়েছে। শহর প্রায় খালি। অধিকাংশই ঘর ছাড়া। যারা রয়েছে তারা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি কয়েক মাস আগেই স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয় তারা জানিয়েছিল আর সতর্ক করেছিল। কিন্তু সরকার উদাসীন ছিল
যোশীমঠ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের এক জন জানিয়েছেন, এলাকার এই পরিস্থিতি হতে পারে না নিয়ে কয়েক দশক আগেই রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করা হয়েছে। এই এলাকার একাধিক উন্নয়নমূলক কাজকর্মই এলাকার ধ্বংস ডেকে নিয়ে আসছে- বলেও তাদের অনুমান। ন্যাশানাল থার্মাল পাওযার কর্পোরেশনের তপোবন ও বিষ্ণুগড় জলবিদ্যিৎ প্রকল্পের কাজে এলাকার মাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এই এলাকায় সব কাজ বন্ধ রয়েয়েছে। প্রবল জলের তোড়ে এলাক খুব তাড়াতাড়ি বিলীন হয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায় যোশীমঠ যেখানে অবস্থিত সেখানে মাটির তলা ফাঁপা। তাতেই তা মাটিতে বসে যাচ্ছে। যেকোনও সময় বড়সড় ফাটল দেখা দিতে পারে।
পরিস্থিতি আরও ভালভাবে পরিমাপ করার জন্য, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, আইআইটি রুরকি, ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজি এবং সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় এই এলাকায় সিসমোসিক ল্যান্ডস্লাইড জোনের অন্তর্গত। শহরের একটি এলাকার মাটি ফাঁপা। যার কারণে জমি তলিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
'প্রবাসী ভারতীয়রাই দেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর', ইন্দোরে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
Joshimath Sinking: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বদ্রীনাথের প্রবেশদ্বার যোশীমঠ, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবিগুলি
বিপর্যস্ত যোশীমঠ শিব-পার্বতী উপহার দিয়েছিলেন বিষ্ণকে, জানুন এর পৌরানিক বিশ্বাস ও ভবিষ্যৎ