- Home
- India News
- Joshimath Sinking: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বদ্রীনাথের প্রবেশদ্বার যোশীমঠ, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবিগুলি
Joshimath Sinking: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বদ্রীনাথের প্রবেশদ্বার যোশীমঠ, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবিগুলি
- FB
- TW
- Linkdin
বিপর্যস্ত বদ্রীনাথের প্রবেশদ্বার
ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে বদ্রীনাথের প্রবেশ দ্বার যোশীমঠ। হেমকুণ্ড সাহিব, আন্তর্জাতিক স্কিউং -এর ক্ষেত্র আউলির মধ্যে পর্যটকদের প্রিয় স্থানও এই যোশীমঠ থেকে যাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যের কারণে বিপর্যস্ত পাহাড়ি এই সুন্দর জায়গাটি। এদিন উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
যোশীমঠে ফাটল
আদি গুরু শঙ্করাচার্য এই জায়গাটিতে দীর্ঘ দীর্ঘ দিন আগে তপস্যা করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। যোশীমঠ ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি, রাস্তা এমনকি পাহাড়েও ফাটল দেখা দিচ্ছি। বেশ কিছু বাড়ি ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করছে। ইতিমধ্যে ৬০০ পরিবারকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যোশীমঠের মন্দির ভাঙায় উদ্বেগ
শুক্রবার সন্ধ্যায় যোশীমঠের একটি মন্দির ভেঙে যায়। যা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই এলাায় ফাটল দেখা গিয়েছিল। একাধিক বাড়ির দেওয়ালে ফাটল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। একাধিক বাড়ি আর রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছিল। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যে অবস্থা দ্রুত খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
বিপর্যয়ের শুরু ১৫ মাস আগে
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় ১৪-১৫ মাসে আগ যোশীমঠের গান্ধীনগর এলাকায় শুরু হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ফাটল দেখা দিয়েছিল এই এলাকায়। তারপর সুনীল মনোহরবাগ, সিংধর ও মারোয়ারির মত অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বিপর্যয়।
প্রকৃতির গ্রাসে যোশীমঠ
দিন ১৫ আগে থেকে পাহাড়ি এই এলাকায় প্রকৃতি দ্রুত বদল হতে শুরু করে। সুনীলে সাকলানি পরিবারের বাড়ি প্রথম ভেঙে পড়ে। তারপর এলাকার দুটি বড় হোটেল মাউন্টেন ভিউ ও মালারি ইনের দেওয়া জুড়ে বিশাল ফাটল দেখা দেয়। নিরাপত্তার কারণে হোটেলদুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই হোটেলের নিচে বসবাসকারী পাঁচটি পরিবারে তাদের বাড়ি হারিয়েছে।
বিষ্ণু প্রয়াগ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতি
বিষ্ণুপুরম ছিল জেপি ভেঞ্চাসর-২০০ মেগাওয়াট বিষ্ণপ্রয়াগ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কলোনি। গত ৩ জানুয়ারি সেটি সম্পূর্ণ খালি করে দিতে হয়েছিল। কারণ সেখানে সেই সময় হঠাৎ করে বিশাল ফাটল দেখা যায়। ইতিমধ্যেই সেখানে অনেকগুলি বাড়ি তলিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মীরা আহত হয়নি। কিন্তু বেশ কিছু বাড়ি, অফিস আর কোম্পানির গেস্টহাউস, ক্যান্টিনের ছাদে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যোশীমঠ সিসমিক জোন-৫
যোশীমঠ বাঁচাও সংগ্রাম সমিতির আহ্বায়ক অতুল সতী বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের খুঁটির সাহায্যে নিজেদের বাসস্থানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতেও তারা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, যোশীমঠ কৌশলগত, ধর্মীয়, পর্যটন-কেন্দ্রেক একটি এলাকা। এটি সিসমিক জোন-৫ এর মধ্যে পড়ে। যদি একটি ভূমিকম্প হয় তাহলে গোটা এলাকা নিশ্চিহ্ন হতে বেশি সময় লাগবে না।
ক্ষয়-ক্ষতির ক্ষতিয়ান
বুধবারে প্রকাশিত সরকারি সমীক্ষা অনুযায়ী এখানে এখনও পর্যন্ত দুটি বড় হোটেল-সহ ৫৬১টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষয়ি সরকারি হিসেবের তুলনায় অনেক অনেক বেশি বলেও মনে করছে স্থানীয়রা। ভূমিধসের কবলে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একটি বড় অংশ। যোশীমঠের একাধিক ফাটল দিনে দিনে চওড়া হচ্ছে।
বাড়ছে ঘরছাড়াদের সংখ্যা
যোশীমঠ পৌরসভার রবিগ্রাম, গান্ধীনগর, মনোহরবাগ, সিংহধর ওয়ার্ডে সবথেকে বেশি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার কারণে এখনও পর্যন্ত এই এলাকা থেকে ৫০টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যোশীমঠের বৈশিষ্ঠ্য
যোশীমঠের অনেক অসামান্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ধর্ম ও সংস্কৃতির কথা বললে বিখ্যাত বদ্রীনাথ ধাম এবং আদি গুরু শঙ্করাচার্যের তপস্যা স্থান এই শহরের পরিচয়ের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। এটি বিশ্ব-বিখ্যাত স্কিইং গন্তব্য আউলির প্রবেশদ্বার হিসাবেও পরিচিত, এশিয়ার দীর্ঘতম এবং সর্বোচ্চ দড়ি-পথ প্রকল্প, ৪২০ মেগাওয়াট বিষ্ণুপ্রয়াগ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং এনটিপিসির ৫২০ মেগাওয়াট তপোবন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।