সংক্ষিপ্ত

বিহারের বিজয়মঞ্চে নরেন্দ্র মোদী

তাঁর থেকে শংসা পেলেন জেপি নাড্ডা

উঠল তাঁর নামে জয়ধ্বনি

বিহারে ভোট যেন নাড্ডাকে সত্যিকারের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা দিল

 

মাথার উপর দুই হাত তুলে হাততালি দিতে শুরু করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করতালি দেওয়া দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেওয়া শুরু করলেন মঞ্চে উপস্থিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সকলে। অন্তত দেড় মিনিট ধরে নয়া দিল্লির বিজেপি সদর দফতরের সামনে উপস্থিত জনতাও হাততালি দিল জেপি নাড্ডার উদ্দেশ্যে। আর তখন বিজেপির সর্বভারতীয় প্রধান কৃতজ্ঞতায় নতমস্তক। জেপি নাড্ডার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ হল বলা চলে।

বিহারে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বিজেপি। এনডিএ-র জেতা ১২৫টি আসনের মধ্যে বিজেপিরই রয়েছে ৭৩টি আসন। গতবারের থেকে ভোট শেয়ার একটু কমলেও আসন সংখ্যা বেড়েছে ২১টি। আর এই জয়ের স্থপতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, মঙ্গলবার থেকেই এই কথা বিজেপির অন্দরমহলে শোনা যাচ্ছিল। এদিন একেবারে প্রকাশ্য জনসভায় বলে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। হাততালির পর স্লোগান তুললেন, 'নাড্ডাজি আগে বাড়ো, হাম তুমহারে সাথ হ্যায়'।

অমিত শাহ-এর হাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির দায়িত্ব নিয়েছেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু এতদিন যেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্যতা ছিল না জেপি নাড্ডার। অমিত শাহ বিজেপি সভাপতি হিসাবে দলকে পাহাড় প্রমাণ সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। তাঁর ক্যারিশ্মার পাশে হিমাচল প্রদেশ থেকে আসা নাড্ডা যেন কিছুটা হলেও ম্যাড়মেড়ে ছিলেন। কিন্তু, বিহারের ভোটে এইবারের এই দুর্দান্ত ফল একেবারে তাঁরই কেরামতি বলে দাবি করতে পারেন নাড্ডা। তারকা প্রচারক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্যই ছিলেন, কিন্তু, সংগঠনকে পরিচালনার ভারটা নিজের হাতেই তুলে নিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা। অমিত শাহ বাংলায় প্রচারে এসেছিলেন, কিন্তু বিহারে পা দেননি।