সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনে আটকা পড়া ভারতীয় নাগরিক সৃষ্টিকে বিমানের সামনের সারিতে নিয়ে গিয়ে নিজে বসিয়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য। শুধু তাই নয়, সহযাত্রীদের তার যত্ন নিতে বলেন।
রোমানিয়ায় (Romania) রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Civil Aviation Jyotiraditya Scindia)। ইউক্রেনে (Ukraine) আটকে পড়া ভারতীয়দের (Indian) উদ্ধারের কাজে একাধিক নজরকাড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। মারাঠিতে কথা বলে দেশকে নিয়ে গিয়েছেন উদ্বিগ্ন পড়ুয়াদের কাছে। ঘরের লোক হয়ে আশ্বাস জুগিয়েছেন পড়ুয়াদের। বুধবার ইউক্রেনে আটকা পড়া ভারতীয় নাগরিক সৃষ্টিকে বিমানের সামনের সারিতে নিয়ে গিয়ে নিজে বসিয়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য। শুধু তাই নয়, সহযাত্রীদের তার যত্ন নিতে বলেন।
সৃষ্টির লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল এবং বুখারেস্টে আটকে পড়েছিলেন ওই অবস্থায়। সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করেন জ্যোতিরাদিত্য। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তাঁকে সৃষ্টিকে বিমানের আসনে বসাতে দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই আন্তরিকতা মন কেড়েছে নেটিজেনদের। প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁরা।
মোদীর চার মন্ত্রীর মধ্যে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া রোমানিয়া বিমানবন্দরে নেমে আগেই পৌঁছে যান পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘদিন পর পড়ুয়ারা চোখের সামনে নিজের দেশের মানুষকে দেখে স্বস্তি পান। সাহস পান। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সব পড়ুয়া নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন তিনি সেখান থেকে ফিরবেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাসে বুকে যেন বল পেয়েছেন ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা।
এদিকে, বুধবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে ফের টেলিফোনে কথা (spoke on phone) বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। ইউক্রেনে (Ukraine) এখনও আটকে রয়েছে হাজার হাজার ভারতীয় (Indians)। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ভারত। নিজেদের উদ্বেগের কথা জানাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ফোন করেন মোদী। ফোনে পুতিনের কাছ থেকে ভারতীয়দের নিরাপদ স্থানান্তরিতকরণ নিয়ে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
মোদী এদিন পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। বিশেষ করে খারকিভে আটকে রয়েছেন একাধিক ভারতীয় পড়ুয়া। তার মধ্যে রুশ সেনার হামলায় এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। খারকিভেই সর্বাধিক হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা। কীভাবে খারকিভ থেকে ভারতীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে প্রসঙ্গে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বলে খবর।
এর আগে ২২শে ফেব্রুয়ারি হিংসা বন্ধ করার অনুরোধ করে পুতিনকে ফোন করেছিলেন মোদী। এর পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী (Russia-Ukraine tensions) সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে রাশিয়া এবং ন্যাটো গ্রুপের মধ্যে মতপার্থক্য কেবল আন্তরিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যেতে পারে।