সংক্ষিপ্ত
- হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনা
- মুখ খুললেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও
- দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
- নির্যাতিতার পরিবারকেও সাহায্যের আশ্বাস
হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণ এবং নৃশংস হত্য়াকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিতে মামলার বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারকে সবরকম সাহায্যের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'মহিলা পশু চিকিৎসকের নৃশংস হত্যার ঘটনার তদন্ত যাতে দ্রুততার সঙ্গে শেষ হয় এবং মামলার বিচার যাতে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে হয়, সেই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব অভিযুক্তের যাতে কঠোরতম শাস্তি হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।'
তরুণী পশু চিকিৎসকের বর্বোরচিত হত্যাকাণ্ডের পরে এটাই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম প্রতিক্রিয়া। বিবৃতি বলা হয়েছে, 'এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধী আমাদের মধ্যে বসবাস করছে, এটা ভেবেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তরুণী পশু চিকিৎসকের হত্যা একটি বর্বরোচিত এবং অমানবিক অপরাধ।'
আরও পড়ুন- 'আমারও মেয়ে রয়েছে', ছেলের ঘৃণ্য অপরাধে স্তম্ভিত মা
আরও পড়ুন- সারা দেশ চাইছে ফাঁসি, হায়দরাবাদ কাণ্ডের অভিযুক্তদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের
এই প্রসঙ্গে ওয়ারেঙ্গেলে নাবালিকাক হত্যার ঘটনার বিচারের উদাহরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার হওয়ায় মাত্র ৫৬ দিনে সেই মামলায় অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও সেরকমই চাইছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।
গোটা দেশ যখন হায়দরাবাদের নৃশংস ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে, সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন সেউ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অবশেষে মুখ খুলে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিল, এই ঘটনার তদন্তে কোনওরকম শিথিলতা দেখাবে না তাঁর সরকার।