সংক্ষিপ্ত

  • রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির ছাপ
  • বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে ফ্রান্সে
  • বিরোধীদের আক্রমণের মুখে মোদী
  • প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ কল্যাণের 

রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সময় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। পরে অবশ্য দীর্ঘ মামলার পর সেই অভিযোগ খারিজ হয় সুপ্রিমকোর্টে। এরপর পরিস্থিতি থিতিয়ে গিয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় নতুন করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হতে চলেছে ফ্রান্সে। আর তা শুরু হতেই ফের একবার বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের পাশাপাশি মোদীকে আক্রমণ করেছে তৃণমূলও। প্রধানমন্ত্রীর দাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্নীতিও বেড়ে চলেছে বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

আরও পড়ুন- রাফায়েল চুক্তিতে জড়িয়ে রহস্যময় ব্যক্তি, এবিষয়ে জানত মোদী সরকার, ফ্রান্সের তদন্তে অস্বস্তিতে বিজেপি

আজ শ্রীরামপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন কল্যাণ। সেখানেই রাফাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদীর কী হাল হয় দেখতে থাকুন। এর আগেও একটা কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। তার তদন্ত চলছে। এই তো খেলা শুরু। যত রকমের কেলেঙ্কারি আছে, সবের মাস্টারমাইন্ড বিজেপি। এত দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হয় না। দাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নরেন্দ্র মোদীর অপদার্থতা এবং দুর্নীতিও বেড়ে চলেছে।"

তিনি আরও বলেন, "ফ্রান্সের সরকারকে অনুরোধ করছি, সঠিক তদন্ত হোক। এর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক। আরও অনেক দুর্নীতি আছে। আমরা তো আগেই বলেছিলাম। ২০২০-এ নরেন্দ্র মোদী সরকার থাকবে না।"

আরও পড়ুন- রাফাল দুর্নীতিঃ 'চোরের দাড়ি' বলে মোদীকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর, স্বাগত জানাল বিজেপি

শনিবার ফ্রান্সের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিডিয়াপার্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে যে রাফাল চুক্তি হয়েছে, তাতে দুর্নীতির ছাপ রয়েছে। এই চুক্তির তদন্তে এক রহস্যময় ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। এই ব্যক্তি নাকি ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে মধ্যস্থতা করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। এমনকী রিপোর্টে প্রকাশ ওই ব্যক্তিকে ১০ লাখ ইউরো (প্রায় ৯ কোটি টাকা) ‘উপহার’ দিয়েছে রাফাল নির্মাণ সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন। ওই ব্যক্তি সম্পর্কে মোদী সরকার অবগত। এমনই দাবি করেছে ওই সংবাদমাধ্যম। 

আরও পড়ুন- "সরকারের ট্রেন-মেট্রো চালু করা উচিত, বোঝা কমবে" পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মত দিলীপ ঘোষের

এরপরই রাফাল নিয়ে নতুন করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হতে চলেছে ফ্রান্স। এই ঘটনায় ফের একবার কংগ্রেস যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে তদন্তের দাবি তুলেছে। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, "কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই এই অস্বচ্ছ চুক্তির বিষয়ে বলে এসেছে। এবার তাতে সিলমোহর পড়ল। এটা খুবই স্পর্শকাতর একটি মামলার তদন্ত। দুই সরকারের মধ্যে এই চুক্তি সই হয় ২০১৬ সালে। এই কেলেঙ্কারির নেপথ্যে থাকা সত্যি প্রকাশ্যে আসবেই।"