সংক্ষিপ্ত
- লখনউ-এ নিজের কার্যালয়েই হত্যা করা হয়েছিল হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে
- মঙ্গলবারই গুজরাত থেকে গ্রেফতার হয়েছে হত্যাকাণ্ডের মূল দুই অভিযুক্ত
- বুধবার এল ঘটনার ময়না তদন্তের রিপোর্ট
- তাতে বোঝাই যাচ্ছে তীব্র আক্রোশ থেকে করা হয়েছে এই খুন
১৫ বার ছুরির আঘাত, তারপর মাথায় করা হয়েছিল একটি গুলি। এভাবেই হত্যা করা হয়েছিল হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বের হল এইরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য। মঙ্গলবারই গুজরাত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের মূল দুই সন্দেহভাজনকে। পরদিনই ময়না তদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হল, আততায়ীরা তীব্র জিঘাংসা থেকে হত্যা করেছে এই হিন্দু নেতাকে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট জানাচ্ছে, তাঁর ঘাড়ে দুটি গভীর ক্ষত ছিল। দুটি ক্ষতের মাঝখানে মাত্র ১৫ সেন্টিমিটারের তফাত রয়েছে। বাকি আঘাতগুলির বেশিরভাগই রয়েছে তাঁর চোয়াল ও বুকের মাঝখানে। সেখানে আআতগুলির মাঝে ফাঁক রয়েছে ১০ সেন্টিমিটারের। এছাড়া তাঁর করোটির পিছনদিকে একটি গুলি মিলেছে।
গত ১৮ অক্টোবর সকালে লখনউ-এর নাকা এলাকায় হিন্দু সমাজ পার্চির কার্যালয়ের ভিতরেই খুন করা হয়েছিল কমলেশ তিওয়ারিকে। মঙ্গলবার এই কাণ্ডে প্রধান দুই অভিযুক্ত, আশফাক হুসেন জাকিরহুসেন শেখ (৩৪) ও খুরশিদ পাঠান (২৭)-কে গুজরাত-রাজস্থান সীমান্তের এক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গুজরাতের সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনি। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক ছিল। আরও দুইজনকে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ঘটনায় সাহায্য করার সন্দেহে আটক করেছে।