সংক্ষিপ্ত

সমাজবাদী পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কনৌজ। সেখানকারই বাসিন্দা সুগন্ধী ও পান মসলার ব্যবসায়ী পীযূষ জৈন। তাঁরই বাড়িতে বৃহস্পতিবার হানা দেয় আয়কর দফতর ও সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস কাস্টমস (CBIC)। 


কানপুরে ব্যবসায়ীর (Kanpur Businessman) বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি (BJP) ও বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির (SP) মধ্যে ইতিমধ্যেই দঁড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীর বাড়িতে এখনও পর্যন্ত ১৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। তারপরই বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। 

সমাজবাদী পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কনৌজ। সেখানকারই বাসিন্দা সুগন্ধী ও পান মসলার ব্যবসায়ী পীযূষ জৈন। তাঁরই বাড়িতে বৃহস্পতিবার হানা দেয় আয়কর দফতর ও সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস কাস্টমস (CBIC)। কানপুরে তার আরও বেশ কয়েক সম্মত্তি রয়েছে। সেগুলিতেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই ঘটনাকে কাজে লাগাতে ভোটমুখী উত্তর প্রদেশের দুটি রাজনৈতিক দলই একে অপরকে নিশানা করতে শুরু করেছে। 

বিজেপির উত্তর প্রদেশের মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠী একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি যে দূর্ণীতিবাদ ও গুন্ডাদের সাহায্য করতে তার প্রমাণ হল পীযূষ জৈন। তিনি আরও বলেন সমাজবাদী পার্টির ঘনিষ্টদের বিরুদ্ধে যে আয়কর হানা দেওয়া হয়েছে তাও টেনে এনে অখিলেশ যাদবের দলকে নিশানা করেন তিনি। তিনি আরও বলেন সমাজবাদী পার্টি গরীবদের টাকা দিয়ে নিজেদের আলমারি ভর্তি করেছে। আর সেই কারণে দূর্ণীতিবাদদেরও সাহায্য করেছে। দুর্ণীতির বিরুদ্ধে লড়়াইয়ে যোগী আদিত্যনাথ যে আবার জয়ী হবেন তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। 

পাল্টা সমাজপার্টির তরফ থেকে দলের মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরী পীযূষ জৈনের সঙ্গে তাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি তাদের দলেরও সদস্য নন। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির জাতীয় মুখপাত্র অনুরাগ ভাদৌরিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে ডাকাতি বেশি হচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে ব্যবসায়ীর যোগাযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন বিজেপির বন্ধু পীযূষ জৈনি। তার সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে সম্বিত পাত্র বলেছেন, সমাজবাদী পার্টির একটি স্লোগান রয়েছে যে জনগণের টাকা তাদের। তাই এই টাকা সমাজবাদী পার্টির ঘনিষ্ট ব্যবসায়ীর হতেই পারে। পীযূষ জৈন সেই ব্যক্তি যিনি সমাজবাদী পার্টির আমলেই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তার বাড়ি থেকে ১০০ কোটি টাকার বেসি পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

প্রথমে কানপুরের একটি পণ্য পরিবহন সংস্থা মেসার্স গণপতি রোড ক্যারিয়ারের মালিকানাধীন অফিস ও গোডাউনগুলিতে একটি অভিযান চালান হয়েছিল।  যার পর তল্লাশি চালান হয় পীযূষ জৈনের কারখানা ও বাড়িতে। জিএসটি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গোয়েন্দারা নির্দিষ্ট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এদিন তল্লাশি অভিযানে সামিল হয়েছিল। তাতেই উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কারখানা ও বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় এই নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। স্ট্যেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা সংস্থাগুলিকে নগদ টাকা গুণতে সাহায্য করছে। এখনও পর্যন্ত ১৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও আশা করেছে তদন্তকারীরা। 

Omicron Symptoms: ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তদের উপসর্গ কী, বিস্তারিত বললেন বিশেষজ্ঞরা

TMC: ঝালদায় ভোট রঙিন দেওয়াল, তৃণমূলের লক্ষ্য বাকি পুরসভা নির্বাচনেও জয়