সংক্ষিপ্ত

রাজ্য সরকার নিউ ইয়ারের সব ধরণের পার্টি এবং জমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। খোলা মাঠেও কোনও অনুষ্ঠান, পার্টি করা যাবে না। 

মহামারি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ওমিক্রন সংক্রমণের চূড়ান্ত রূপ দেখা যাবে। তবে তা মাত্র একমাসই স্থায়ী হবে বলেও অনুমান করছেন তাঁরা। তবে তার আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নাইট কার্ফু (Night Curfew) চালু করছে একের পর এক রাজ্য। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পর এবার সেই রাস্তায় পা রাখল কর্ণাটক (Karnatak)। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ১০ দিন(10 days) ধরে নাইট কার্ফু জারি থাকবে। কার্ফু শুরু হচ্ছে ২৮শে ডিসেম্বর (28th December) থেকে। 

কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর জানান রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে। কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে প্রায় দশ দিন, রাত ১০টা থেকে পরের দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে নাইট কার্ফু জারি থাকবে রাজ্যে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছেন যে রাজ্য সরকার নিউ ইয়ারের সব ধরণের পার্টি এবং জমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। খোলা মাঠেও কোনও অনুষ্ঠান, পার্টি করা যাবে না। বিশেষ করে যারা ডিজে এবং বড় জমায়েত করে নিউইয়ার সেলিব্রেট করে, সেই ধরণের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, খাবার রেস্তোঁরা, পাবগুলিকে লোকধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ওমিক্রনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮। শনিবার কর্ণাটকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের আরও সাতটি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। সুধাকর জানিয়েছেন এই সাতজনের মধ্যে, দুজন দিল্লি থেকে কর্ণাটক এসেছেন, একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন, একজন জাম্বিয়া, ব্রিটেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছেন এবং অন্যজন ব্রিটেন থেকে আগত যাত্রীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। 

শনিবার কর্ণাটকে ২৭০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, রাজ্যে ক্রমবর্ধমান রোগীর সংখ্যা ৩০,০৪,২৩৯ হয়েছে । এর মধ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭২৭১। এদিকে, সাড়ে চাড়শ'র গণ্ডি পার করল ভারতের ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার রাত পর্যন্তু বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে ভারতে নতুন ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা অন্তত ৩৭ টি বেড়ে ৪৫২-তে পৌঁছেছে। এরমধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ বেড়েছে রাজস্থানে। এই রাজ্য থেকে ২১ টি নতুন ওমিক্রন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। গুজরাট (Gujarat) থেকে ৬টি, মহারাষ্ট্র (Maharashtra) থেকে ২টি এবং কেরল (Kerala) থেকে ১টি নতুন ওমিক্রন সংক্রমণের কথা রিপোর্ট করা হয়েছে। 

শনিবার, রাজস্থানে ভয়ঙ্কর ভাবে ওমিক্রন সংক্রমণের বৃদ্ধি ঘটতে দেখা গিয়েছে। এক দিনে আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ২২, সেখান থেকে বেড়ে শনিবার হয়েছে ৪৩।