সংক্ষিপ্ত

এক মহিলা শাড়িবিক্রেতাকে দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে যান ওই পুরুষ বিজেপি সাংসদ। কপালে টিপ না পরার জন্য স্থানীয় ভাষায় তিনি কড়া ভর্ৎসনা করেন ওই বিক্রেতাকে। 

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারা পৃথিবীতে নারীর যে অবদান, তা মনে করার এবং স্বীকৃতি দেওয়ার দিন। এই দিনে দেশের প্রধান নেতানেত্রী থেকে শুরু করে পরিবারের নারী সদস্যদেরও সম্মান জানান পুরুষরা। কিন্তু, ২০২৩-এর নারী দিবসে ভারতে এর একেবারে ব্যতিক্রমী ছবি দেখা গেল খোদ কেন্দ্রীয় শাসকদলের এক সাংসদের আচরণে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে।

এই রাজ্যের বিজেপি সাংসদ এস মুনিস্বামী বুধবার এক মহিলা বিক্রেতাকে তাঁর পরিচ্ছদ নিয়ে রীতিমতো ধমক দিলেন এক ঝাঁক মানুষজন এবং দলীয় কর্মীসমর্থকদের সামনে। ইন্টারনেটে তাঁর অভব্য আচরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ছিছিক্কার পড়ে গেছে সারা ভারত জুড়ে। কর্ণাটকের কোলার জেলার ওই পুরুষ সাংসদ, যাঁকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে দেখা যাচ্ছে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে সৌজন্য বিনিময় করতে, তিনি মহিলা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি প্রদর্শনীতে গিয়ে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেন ওই মহিলা বিক্রেতাকে। যে ভর্ৎসনার মূলে ছিল লিঙ্গভেদের মতো যৌনতাবাদী চেতনা।

বুধবার শাড়ি-জামাকাপড়ের ওই প্রদর্শনীতে এসে বিজেপি সাংসদ এস মুনিস্বামী এক মহিলা বিক্রেতাকে দেখতে পান যাঁর কপালে কোনও টিপ ছিল না। শুধুমাত্র কপালে টিপ না থাকাটাই ছিল ওই বিক্রেতার ‘অপরাধ’। এই ‘অপরাধে’ তাঁকে সকলের সামনে যাচ্ছেতাইভাবে জোর গলায় অপমান করতে থাকেন ওই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ‘সবার আগে আপনি টিপ পরুন। আপনার তো স্বামী বেঁচে আছেন। তাই নয় কি? আপনার কোনও স্বাভাবিক বোধবুদ্ধি নেই!’

বলাবাহুল্য, শাসকদলের একজন সাংসদের এরূপ আচরণের সামনে একজন সাধারণ শাড়ি বিক্রেতা কোনও উত্তরই দিতে পারেননি। স্থানীয় ভাষায় তিনি বিজেপি সাংসদের কাছে টিপ না পরার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন।
 

 

আরও পড়ুন- 
তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বিজেপির বনি সেনগুপ্ত, এ প্রসঙ্গে কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিজের ‘ফলোয়ার’ বাড়াতে গিয়ে প্রতারকদের ফাঁদে পা, এ কী করে ফেলল মুম্বইয়ের কিশোরী!

শুক্রবার সকাল থেকে থমথমে হয়ে যেতে পারে শহর কলকাতা, একাধিক দাবি নিয়ে পথে নামছে বাম ও বিজেপি