সংক্ষিপ্ত

  • কর্নাটকের ১৫টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে
  • আর তারপরেই ইয়েদুরাপ্পা সরকার টিকবে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে
  • ১৫টি আসনই বিরোধীরা পেলে সমস্যায পড়বে বিজেপি
  • তবে জেডিএস একা লড়ডার কথা জানিয়ে বিজেপিকে স্বস্তি দিয়েছে

শনিবার ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্নাটকের ১৫টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে। ২১ অক্টোবর নির্বাচন, ২৪ অক্টোবর ফলাফল। আর এই দিন ঘোষণা হতেই নতুন করে শুরু হল কর্নাটকের রাজনৈতিক নাটক। গত জুলাই মাসে জেডিএস ও কংগ্রেসের ১৫ জন বিধায়ক পূর্বতন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করাতেই জোট সরকারকে আস্তাবোটে হারিয়ে সরকার গঠন করে বিজেপি। কিন্তু তিন মাস পরই ইয়েদুরাপ্পা সরকারের নৌকা উল্টে যেতে পারে।

কর্নাটকে এর আগে আস্থাভোট চলাকালীন তখনকার স্পিকার কে রমেশ  ওই ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে বহিষ্কার করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। তার রায় না বের হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ভবিষ্যত ঝুলে থাকবে। আদালত স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিলে তবেই এই বিধায়করা নির্বাচনে লড়তে পারবেন। এই অবস্থায় বেশ চাপে ইয়েদুরাপ্পা সরকার।

অঙ্কের হিসেব বলছে ১৫টি আসনের মধ্য়ে কংগ্রেস-জেডিএস ১১টি আসন দখল করতে পারলেই সরকার উল্টে দিতে পারবে তারা। অপরদিকে সরকার ধরে রাখতে বিজেপির প্রয়োজন আরও ৬টি আসন। তবে এই ১৫টি আসনেই ২০১৮ সালে জয় পেয়েছিল জেডিএস ও কংগ্রেস। তাই চাপ বেশি বিজেপিরই।

শনিবার নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই অবশ্য ইয়েদুরাপ্পাকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে জেডিএস। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই এদিন তাদের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলে তারা জানিয়েছে ১৫টি আসনেই জেডিএস একা লড়বে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়া হবে না। কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।