সংক্ষিপ্ত
- লটারিতে বাম্পার পুরস্কার
- রাতারাতি কোটিপতি সোনার দোকানের ৬ কর্মচারী
- পুরস্কারের অর্থমূল্য ১২ কোটি টাকা
- ছয় কর্মচারী সেই অর্থ সমান ভাগে ভাগ করে নেবেন বলে জানিয়েছেন
ভাগ্যের চাকা যে কোনদিকে কখন ঘুরে যায়, সেকথা কেই বা বলতে পারে। বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরা, কিন্তু সেই স্বপ্ন যে রাতারাতি বাস্তবায়িত হয়ে যেতে পারে সেকথা হয়তো ভাবতেও পারেননি। লটারিতে বাম্পার পুরস্কার জিতে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হলেন সোনার দোকানে কর্মরত ছয় কর্মচারী।
ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোল্লম জেলার কারুনাগাপল্লিতে। সেখানে 'চুনগাট জুয়েলারি' নামে এক সোনার দোকানে কাজ করতেন ছয় বন্ধু, যাদের নাম রমজম, রনি, বিবেক, সুবিন, রথীশ এবং রাজীবন। জানা গিয়েছে সোনার দোকানে কর্মরত ওই ছয় বন্ধু একই মূল্য়ের দুটি টিকিট কিনেছিল। যার মধ্যে একটি টিকিটেই হয়ে যায় বাজিমাত। লটারিতে প্রথম বাম্পার পুরস্কার হিসাবে ১২ কোটি টাকা ওঠে। ঘটনাটি বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই সত্যি।
বৃহস্পতিবার কেরল সরকারের লটারি বিভাগ তিরুবনম যখন বিজয়ী টিকিটের নম্বর ঘোষণা করা হচ্ছিল তখন তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন গয়নার দোকানের কাজে। সেই সময়ে তাঁরা সোনার দোকানে আগত ক্রেতাদের গয়না দেখাচ্ছিলেন। লটারির টিকিটের কথা ভুলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে কৌতুহলের বশে য়খন টিকিটের নম্বর মেলাতে যান, তাতে দেখেন যে, তাদের টিকিটই প্রথম পুরস্কার বাবদ ১২ কোটি টাকা জিতেছেন।
আরও পড়ুন- 'উইন্টার ইজ কামিং', ইসরোর সামনে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের শেষ সুযোগ
আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ৪০০০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার, মুক্তি পেল প্রায় ৩,১০০
আরও পড়ুন-প্রথমে ইমরান, পরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
আরও পড়ুন- আঁধারে নিমজ্জিত চাঁদ, ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের সব আশাই শেষ
তাঁদের টিকিটের নম্বর ছিল টিএম-১৬০৬৮৯। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে তাঁদের বিশ্বাস হয়নি যে তারা বাম্পার পুরস্কার জিতেছেন। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে কেবল টিকিটের নম্বরই মিলিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে ১২ কোটি টাকার মধ্যে কর বাবদ কেটে নিয়ে তাঁরা পাবেন প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। যার ফলে তাঁরা প্রত্যেকেই মাথা পিছু এক কোটি টাকা করে পাবেন। ছয় বন্ধুর কথায় তাঁরা এখনও বিশ্বাসই করতে পাচ্ছেন না যে, তারা কোটিপতি। প্রথমে তাঁরা তিন বন্ধু লটারির টিকিট কেনার উৎসাহ দেখান। কিন্তু পরে তার আরও তিন বন্ধু যোগ দেয়। তারপর জেতার পরে তাঁরা নিজেদের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারেনি। তাঁরা আরও জানিয়েছেন এই টিকিটের মূল্য তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবেন। এই অর্থ পরিবারের জন্য এবং ধার-দেনা মেটাতে কাজে লাগাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা এবং ইতিমধ্যেই নিকটবর্তী স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় তাঁরা টিকিটটি জমা করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।