সংক্ষিপ্ত
শনিবার কর্ণাটকের নির্বাচনের ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে যাওয়ার পরেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে সেই রাজ্যের দলীয় নেতাদের জন্য বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়। নির্দেশে জানানো হয়েছে যে, সমস্ত নেতা যেন ১৪ মে, রবিবার জরুরি বৈঠকের জন্য বেঙ্গালুরুতে গিয়ে পৌঁছন।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে শাসনক্ষমতা কায়েম করে নিল কংগ্রেস। এই জয়ের পর বেঙ্গালুরুতে দলীয় অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কর্ণাটকের কংগ্রেসের দলীয় নেতারা। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা-সহ আরও অনেকে। ডি কে শিবকুমার জানিয়েছেন যে, ১৪ মে, রবিবার, দলের অন্দরে আলোচনা করার জন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এই বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে হবে যে, কংগ্রেসের তরফে কে হবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিজয়ী বিধায়কদের নিয়ে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করা হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম।
১৩ মে, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। দিল্লিতে প্রচুর মানুষ, দলীয় সমর্থক এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের এই জয়ের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন কর্ণাটকের সাধারণ মানুষদের। তাঁর কথায়, ‘এই জয় ভালোবাসার জয়। আজ থেকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হল, শুরু হল ভালোবাসার দোকান।’
গতকাল কর্ণাটকের ভোটের ফল সামনে আসতে শুরু করার পর থেকেই নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে ভিড় জমতে শুরু করে। কংগ্রেস যখন ম্যাজিক ফিগার ১১৩টি আসনের গণ্ডী পেরিয়ে গিয়েছে, সেই সময়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস শিবিরে তখন উচ্ছ্বাসের উন্মাদনা। পাশাপাশি চলছিল ঢাক-ঢোল বাজানো, বাজি ফাটানো। সাংবাদিকদের দিকে এগিয়ে এসে রাহুল গান্ধী দলীয় সমর্থকদের চুপ করতে বলেন। বাজি ফাটানোও বন্ধ করার আবেদন জানান তিনি। এর পর বলেন, ‘কর্ণাটকের সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি, সে রাজ্যের কংগ্রেস কর্মী ও সাধারণ সমর্থকদেরও ধন্যবাদ জানাই৷ এই জয়ের ফলে বোঝা গেল, এই রাজ্যে ভালাবাসার দিন শুরু হল, এই জয় ভালাবাসার জয়। কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হল, ভালোবাসার দোকান শুরু হল।’ তিনি এও বলেন যে, কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তই গ্রহণ করা হবে।’
শনিবার কর্ণাটকের নির্বাচনের ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে যাওয়ার পরেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে সেই রাজ্যের দলীয় নেতাদের জন্য বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়। নির্দেশে জানানো হয়েছে যে, হাত শিবিরের সমস্ত নেতা যেন ১৪ মে, রবিবার জরুরি বৈঠকের জন্য বেঙ্গালুরুতে গিয়ে পৌঁছন। আজকের এই জরুরি বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ১টি চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন-
Gold Silver Price: শনিবারের পর রবিবার ফের চড়ল সোনা-রুপোর দর? জেনে নিন আজকের লেটেস্ট আপডেট
মে মাসে কোন শহরে ঊর্ধ্বমুখী হল জ্বালানির দাম? দেখে নিন রবিবারের পেট্রোল-দর