সংক্ষিপ্ত

এশিয়ানেট নিউজের মহা জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আসন ভাগভাগির ছবি। দেখুন কংগ্রেস, বিজেপি, জেডিএস কে এগিয়ে রয়েছে।

 

২২৪ অসনের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১১৩। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ম্যাজিক ফিগারের গণ্ডি পার হতে গিয়েই ঘাম ঝরেছিল বিজেপি কংগ্রেস দুই রাজনৈতিক দলের। সংখ্যার খেলায় দুই দলই একে অপরকে টক্কর দেওয়ার মরিয়া প্রয়াস করেছিল। এবারও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হবে কিনা? তা জানতেই লক্ষ্য রাখুন এশিয়ানেট নিউজের মহা জনমত সমীক্ষায়। ভোটের আগেই দেখে নিন বিজেপি, কংগ্রেস আর জেডিএস কার দখলে কটা করে আসন থাকতে পারে।

জনমত সমীক্ষার রিপোর্টঃ

বিজেপি ১০০-১১৪টি আসন পেতে পারে বলে অনুমান করছে। অন্যদিকে কংগ্রসের আসন সংখ্যা ৮৬-৯৮। জেডিএস পেতে পারে ২০-২৬টি আসন। বাকি রাজনৈতিক দলগুলির হাতে থাকতে পারে ৫টি আসন। যার অর্থ বিজেপি বা কংগ্রেসের পক্ষে একক সংখ্যগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করা কিছুটা হলেও সমস্যার। কংগ্রেস নির্বাচনের আগে থেকেই জেডি(এস)এর সঙ্গে কথা বলেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করলেও অনেক ক্ষেত্রে হাত মিলিছে দুই দল। তবে বিজেপি প্রায় একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

গত ২০১৮ সালের কর্ণাটক বিধানসভায় বিজেপি প্রথমে ১০৫ একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বিজেপি ইরেদুরাপ্পার নেতৃত্বে সরকারো গঠন করেছিল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও। কথা ছিল ১৪ দিনের মধ্যে নিজেদের প্রমাণ করেবেন ইরেদুরাপ্পা। কিন্তু তিন দিনের মধ্যে আস্থাভোটের মাত্র ১০ মিনিট আগে ইয়েদুরাপ্পা পদত্যাগ করেন। দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের সুযোগ পায় কংগ্রেস। জেডি(এস) প্রধান কুমারাস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করে সরকার চালাতে শুরু করে কংগ্রেস। এইভাবে ১৪ মাত্র মাস পার হয়। তারপরই আচমকা ১৬ জন শাসকদলের বিধায়ক ও দুই নির্দল বিধায় কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে যায়। তাকরপর আবারও বিজেশি হারানো রাজপাট ফিরে পায়। এবার যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয় তারজন্য এখন থেকেই সতর্ক গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে সতর্ক রয়েছে কংগ্রেসও । দুই দিনই একক ও নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের কথা বলছে।

অন্যদিকে কংগ্রেসের স্টারক্যাম্পেইনার বলতে রাহুল গান্ধী আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দুই ভাইবোনের যৌথ প্রচেষ্টায়ে কংগ্রেস বিজেপিকে টক্কর দেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যাইহোক কর্ণাটক নির্বাচনে এবার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু দুর্নীতি। যার তীরে কংগ্রেস বিদ্ধ করছে বিজেপিকে। পিছিয়ে নেই জেডি(এস)ও। পাশাপাশি কংগ্রেসের ইস্তেহারও গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিতর্ক তৈরি করেছে মুসলিম কোটা আর বজরং দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়। পাল্টা বিজেপি হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর রয়েছে মোদীর ডলব ইঞ্জিন সরকারের বার্তা। যা মোদীর প্রাচর চমক আর যা বিজেপিকে উপকৃত করে বলে স্বয়ং অমিত শাহ বলেছেন।