সংক্ষিপ্ত
এশিয়ানেট নিউজের মহা জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ভোট ভাগাভাগির ছবি ধরা পড়েছে। দেখুন কংগ্রেস বিজেপি জেডিএস কার পাল্লা কতটা ভারি।
২২৪ অসনের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১১৩। কিন্তু অনেকেই মনে আছে ২০১৮ সালে সরকার গঠন নিয়ে রীতিমত রাজনৈতিক নাটক হয়েছিল কর্ণাটকে। সেই প্রথম ভারত দেখেছিল কংগ্রেস আর বিজেপির রিসর্ট রাজনীতি। এবার সেই পরিস্থিতি এড়াতে দুই দলই মরিয়া। কংগ্রেস ও জেডি(এস) জোট যেমন চাইছে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অন্যদিকে বিজেপির কাছে কর্ণাটক নির্বাচন রীতিমত প্রেস্টিজ ফাইট। এশিয়ানেট নিউজের মহা জনমত সমীক্ষায় ভোটের আগেই উঠে এসেছে কর্ণাটকের ভোট শেয়ারের বিস্তারিত ছবি। যেখানে মোদীর নেতৃত্বে এবারও বিজেপি বাজিমাৎ করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এর আগেই এশিয়ানেট নিউজ জনকি বাত-এর সঙ্গে কর্ণাটকরে ভোট সমীক্ষা করেছিল। গত ১৪ এপ্রিল প্রাকাশিত হয়েছিল সেই সমিক্ষা রিপোর্ট। সেই সমীক্ষার সঙ্গে কর্ণাটকের বর্তমানে ভোট-ছবির তেমন কোনও পার্থক্য নেই। বর্তমান সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী বিজেপি ভোট পেতে পারে ৩৮-৪০.৫ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩৮.৫-৪১. ৫ শতাংশ। জেডিএস পেতে পারে ১৪-১৬.৫ শতাংশ ভোট। বাকি রাজনৈতিকদলগুলি ০৪-০৭ শতাংশ ভোট।
আগের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী বিজেপির ঝুলিতে ছিল ৩৭-৩৯ শতাংশ ভোট। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে ছিল ৪০-৩৮ শতাংশ ভোট। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঝোড়ো প্রচার বিজেপিকে অনেকটাই এগিয়ে দেবে কর্ণাটকের ভোটের। শুধু মোদী নন, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারও প্রচারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে বিজেপির ভাল ফলাফলের পিছনে।
অন্যদিকে কংগ্রেসের স্টারক্যাম্পেইনার বলতে রাহুল গান্ধী আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দুই ভাইবোনের যৌথ প্রচেষ্টায়ে কংগ্রেস বিজেপিকে টক্কর দেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যাইহোক কর্ণাটক নির্বাচনে এবার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু দুর্নীতি। যার তীরে কংগ্রেস বিদ্ধ করছে বিজেপিকে। পিছিয়ে নেই জেডি(এস)ও। পাশাপাশি কংগ্রেসের ইস্তেহারও গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিতর্ক তৈরি করেছে মুসলিম কোটা আর বজরং দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়। পাল্টা বিজেপি হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর রয়েছে মোদীর ডলব ইঞ্জিন সরকারের বার্তা। মোদীর প্রচার চমক আর যা বিজেপিকে উপকৃত করে বলে স্বয়ং অমিত শাহ বলেছেন।
তবে কর্ণাটক নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠলেই কংগ্রেস ও বিজেপির কাছে ২০১৮ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিজেপি গত নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৮.১৪ শতাংশ ভোট। যা বিজেপির থেকে বেশি। কিন্তু তারপরেও জোট সরকার ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। জেডিএস পেয়েছিল ১৮ শতাংশের বেশি ভোট। জেডিএসএর সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করলেও তা স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১৪ মাস। ক্ষমতা দখলের খেলায় শেষ পর্যন্ত বাজিমাৎ করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল ইয়েদুরাপ্পাকে। পরবর্তীকালে অবশ্য ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে দিয়ে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী করেছে বাসবরাজ বোমাইকে। তাঁরই নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার কর্ণাটক জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস লড়াই করছে ডিকে শিবকুমার ও খাড়গের নেতৃত্বে। তবে এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে সংসয় রয়েছে। দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসতে পারে এই আতঙ্কে মুখ্যমন্ত্রীর নাম আগে থেকে ঘোষণা করেনি কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ