সংক্ষিপ্ত
পট পরিবর্তন কর্ণাটকের রাজনীতির ময়দানে। দেখুন ৬ হেভিওয়েট প্রার্থীর এলাকায় কেমন ফল করবে কংগ্রেস আর বিজেপি। কোন পথে জেডিএস।
ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই কর্ণাটকের রাজনীতির ময়দানের পট পরিবর্তন হচ্ছে। মাস খানের আগে যেখানে কংগ্রেস আর বিজেপি ঘনিষ্ট লড়াইয়ের ছবি স্পষ্ট হয়েছিল সেখানে এক মাস পরে বিরোধীদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এশিয়ানেট নিউজের মহা জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকাগুলিতে চোখ রাখলে সেই তথ্য পরিষ্কার হয়।
বাসবরাজ বোমাই, শিগগাও গাভেরি
গত এক মাসে মুখ্যমন্ত্রীর জেলার পরিস্থিতি বদলেছে। সর্বেশেষ এশিয়ানেট নিউজ সমীক্ষায় দেখা গেছে মুম্বই কর্ণাটক অঞ্চলের হাভেরি জেলা বিজেপি দখলে রাখার সম্ভাবনা প্রবল বিজেপির। হাভেরির ৬টি আসনের মধ্যে মার্চ- এপ্রিলের সমীক্ষায় বিজেপি যেখানে চারটি আসনে এগিয়ে ছিল এই সমীক্ষায় দেখা গেছে বিজেপি আরও একটি বেশি আসন পেতে পারে বিজেপি।
সিদ্দারমাইয়া, বরুণ, চামরাজনগর
যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসে নেতা বরুণ থেকে জয়ী হবেন বলে প্রত্যাশিত, তাঁর এলাকা পুরনো মহীশূর অঞ্চলের চামরাজনগর জেলায় শক্তিশালী হচ্ছে। সর্বেশেষ এশিয়ানেট নিউজের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে জেলায় প্রস্তাবিত চারটির মধ্যে কংগ্রেস দুটি আর বিজেপি দুটি করে আসন পেতে পারে। আগের সার্ভেতেও একই প্রবণতা ছিল।
এইচডি কুমারস্বামী , চান্নাপাটনা, রামনগর
পুরাতন মহীশূর অঞ্চলের আরেকটি জেলা, রামনগর সম্ভবত জনতা দল সেকুলারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে লড়াই হচ্ছে জেডিএস আর কংগ্রেসের মধ্যে। এশিয়ানেট নিউজের সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী জেডিএস এই জেলায় চারটির মধ্যে তিনটি আসন দখল করতে পারে। যারমধ্যে দুটি আসনে জয় প্রায় অবধারিত।
জগদীশ শেট্টার, হুবলি, ধারওয়াড়
দল বদলু জগদীশ শেট্টার। আর সেই কারণে বিজেপি থেকে কংগ্রেসে আসা এই রাজনীতিবীদের নির্বাচনী এলাকায় নজর রয়েছে। হেভিওয়েট লিঙ্গায়েত নেতা বিজেপিকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন যখন তিনি দল বদল করেছিলেন। কংগ্রেসের আশা শেট্টারের আগমণে মুম্বই কর্ণাটক বেল্টের ধারওয়াদ জেলায় জয় অনেকটাই সহজ হয়ে যেতে পারে।
যাইহোক, সাম্প্রতিক এশিয়ানেট নিউজ সমীক্ষা কংগ্রেসের জন্য এক ধরণের ক্ষতিকারক হতে পারে কারণ আসন অনুমানের ক্ষেত্রে মাটিতে একেবারেই কোনও পরিবর্তন নেই বলে মনে হচ্ছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে বিজেপি এখানে সাতটি আসনের মধ্যে চারটি জিততে পারে এবং কংগ্রেস বাকি তিনটি আসন দখল করতে পারে। মার্চ-এপ্রিলের শেষ এশিয়ানেট নিউজের সমীক্ষায় ঠিক একই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল।
ডিকে শিবকুমার, কনকপুরা, বেঙ্গালুরু গ্রামীণ
কর্ণাটক প্রদেশে কংগ্রেস কমিটির প্রধান ডিকে শিবকুমারের জয় প্রায় নিশ্চিত। পাশাপাশি বেঙ্গালুরু গ্রামীণ এলাকায় কংগ্রেসের ভোট বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। পাল্টা কংগ্রেসের বন্ধু বলে পরিচিত কুমারস্বামীর দল জেডিএসএর প্রতি সমর্থন কমছে। তাই কংগ্রেস এই এলাকায় চারটি আসন পেতে পারে। আর বিজেপি একটি।
বিজয়েন্দ্র দ্বারা, শিকারপুর, শিবমোগা
মধ্য কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার শিকারিপুরা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত হওয়ায় বিজয়েন্দ্রের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশি। গত বারও এই কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন তাঁর বাবা ইয়েদুরাপ্পা। বাবার পরিবর্তে ছেলে ভোট পাবে প্রায় নিশ্চিত। সর্বশেষ এশিয়ানেট নিউজ সমীক্ষা দেখা যাচ্ছে ইয়েদিউরাপ্পার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জেলাটি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি থাকবে। শেষ এশিয়ানেট নিউজ সমীক্ষার পর থেকে স্থল পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি, যা বিজেপির জন্য সাতটি আসনের মধ্যে চারটি, কংগ্রেসের দুটি এবং জেডিএসের জন্য একটি আসনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।