সংক্ষিপ্ত
ভারতে ভোটের জনমত সমীক্ষা এবং ভোট পর্বের সমাপ্তিতে বুথ ফেরত সমীক্ষায় জন কি বাত এক অগগ্রণ্য সংস্থা। বিগত কিছু নির্বাচনে যেভাবে জন কি বাত তাদের সমীক্ষাকে সাধারণ মানুষের সামনে আসল ফলের প্রায় সঠিক ইঙ্গিত দিয়েছে তা একটা অস্থার জায়গা তৈরি করেছে।
জন কি বাত মেগা সার্ভে ফের হাজির কর্ণাটকে। সামনেই কর্ণাটক বিধানসভার ভোট। একটি দফাতেই ২২৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে ১০ মে। ভোট গণণা ১৩ মে। ২০১৮ সালে কর্ণাটকে নির্বাচন হয়েছিল। এবার ২৪ মে-এর মধ্যে কর্ণাটকে নতুন সরকার গঠন হতে হবে। কারণ ২৪ মে-তে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে।
জন কি বাতের টিম ১৫ মার্চ থেকে কর্ণাটকের প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। বিভিন্ন তথ্য-তালাশের মধ্যে দিয়ে জন কি বাতের ডেটা অ্যানালিস্টরা সেই সব তথ্যকে নথিভুক্ত করেছে। এর সঙ্গে ছিলেন ফিল্ড এক্সপার্ট ও সমীক্ষকরা। যাদের দলের মোট আয়তন ছিল ৭০ জন।
সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই দলের সদস্যরা ১৫ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন বিধানসভা ক্ষেত্রে ঘুরে বেড়িয়েছেন। মোট ২০ হাজার লোকের সঙ্গে কথা বলে সংগ্রহ করা হয়েছে তথ্য। আর সেই তথ্যকেই কাটাছেঁড়া করে তৈরি করা হয়েছে জনমত এক সম্ভাব্য ফলাফল। জন কি বাত-এর মতে সমীক্ষায় তথ্য সংগ্রহ অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে, শুধু তথ্য সংগ্রহ করলেই হয় না, কোন তথ্য কতটা জরুরি তা বোঝার মতো ক্ষমতা দলের মধ্যে থাকতে হবে। কারণ এই অনুযায়ী তথ্যের সন্ধানের তালিকা তৈরি করা হয়। যার উপর ভিত্তি করে চলে মানুষের গোষ্ঠীবদ্ধ মানসিকতার খোঁজ, এর মানে যে ভোটের বাজারে মানুষের মনোভাবটা কি কোনদিকে এবং এই মনোভাবের ফলে কি কি সম্ভাব্য ফলাফল ঘটে যাওয়ার একটা সূত্র তৈরি হয়।
জন কি বাত-এর মতে, ২০১৮ সালের কর্ণাটক নির্বাচন-সহ এখন পর্যন্ত গত কয়ে়ক বছরে ৩৬টি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সমীক্ষা সম্পন্ন করেছে তারা। আর এর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে জন কি বাত-এর দেওয়া সম্ভাব্য ফলাফল-এর প্রায় কাছ ঘেঁষে গিয়েছে আসল ফলাফল। তাদের মতে, বলতে গেলে সমীক্ষার ৯০ শতাংশ ফলের সঙ্গে মিল দেখা গিয়েছে আসল ফলের।