সংক্ষিপ্ত
জন কি বাতের নির্ভুল সমীক্ষা শুধু কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন নয়, গোটা দেশ জুড়ে নানা সময়ের নানা ভোটের সঠিক ছবি তুলে ধরেছে পাঠকদের সামনে। তাই জন কি বাত মেগা সার্ভে মানেই নির্বাচনের নির্ভুল গণনা হাতে পাওয়া।
মার্চ মাসেই নির্বাচন কমিশন কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট ঘন্টা বাজিয়ে দেয়। মোদী জাদু নাকি হাত শিবিরের স্ট্র্যাটেজি-শেষ বেলায় কাজে দেবে কোনটা, তা জানতে আগ্রহী আট থেকে আশি। নির্বাচন কমিশন ১০ মে রাজ্যে ভোট এবং ১৩ মে ভোট গণনা ঘোষণা করেছে। এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফল কী হতে চলেছে, তার একটা তুল্যমূল্য বিচার আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে এশিয়ানেট নিউজের জনমত সমীক্ষা জন কি বাত। এই জন কি বাতের নির্ভুল সমীক্ষা শুধু কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন নয়, গোটা দেশ জুড়ে নানা সময়ের নানা ভোটের সঠিক ছবি তুলে ধরেছে পাঠকদের সামনে। তাই জন কি বাত মেগা সার্ভে মানেই নির্বাচনের নির্ভুল গণনা হাতে পাওয়া।
আমাদের সামনে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পূর্ণাঙ্গ ছবি তুলে ধরেছে জন কি বাত মেগা সার্ভে। এই সমীক্ষা জানাচ্ছে কোন দলের শিঁকে ছিড়বে কত শতাংশ ভোট। অর্থাৎ গোটা রাজ্যে বিজেপি, কংগ্রেস ও জেডিএস কত শতাংশ ভোট নিয়ে সরকার গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবে। জন কি বাত জানাচ্ছে এই বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৩৭ শতাংশ থেকে ৩৯ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেতে পারে ৪০ থেকে ৩৮ শতাংশ ভোট, জেডিএস পেতে পারে ১৮-১৬ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, অন্যান্যরা পেতে পারে ০৫-০৭ শতাংশ ভোট। এমনই জানাচ্ছে জন কি বাতের মেগা সার্ভে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কর্ণাটকে নির্বাচনে মোট ২২২টি আসনে প্রথমে ভোট হয়। দুটি আসনে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছিল কারণ এই দুই আসনের মধ্যে একটিতে প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছিল, অন্যটিতে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ছিল। পরে অবশ্য এই দুই আসনেই নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল বিজেপি জোট ১০৪টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৮০টি আসন এবং জনতা দল সেকুলার পেয়েছিল ৩৭টি আসন। কংগ্রেস ও জনতা দল সেকুলার জোট গড়ে প্রথনে সরকার গঠন করেছিল।
উল্লেখ্য, মে মাসের আগে শেষ হবে কর্ণাটকের বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ, এরপরেই আয়োজিত হবে বিধানসভা নির্বাচন। ভারতের এই দক্ষিণী রাজ্যে বিজেপির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার জন্য এবার আরও জোরদার প্রস্তুতি নিয়ে ভোটের ময়দানে নামছে কংগ্রেস।
নির্বাচন কমিশনের মতে, কর্ণাটকে ৫.২১ কোটি ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ৯ লাখ ১৭ হাজার ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। পয়লা এপ্রিল, ২০২৩-এ যাদের বয়স ১৮ বছর হবে, তারাও ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সবার দৃষ্টি বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণের দিকে।