সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তেহারে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে বিজেপির কোপে পড়েছে। তারপর সনিয়ার মুখে কর্ণাটকের সার্বভৌমত্ব শব্দ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনীতিতে।

 

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততণ বিজেপি আর কংগ্রেসের বাকযুদ্ধ বাড়ছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটককেই পাখির চোখ করেছে যুযুধান দুই রাজনৈকিত দল। শনিবার অনুস্থ শরীর নিয়েই কর্ণাটকে ভোট প্রচারে উপস্থিত হয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। দলবদলু আর্থাৎ বিজেপি থেকে কংগ্রেসে আসা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারের নির্বাচনী কেন্দ্র হুবল্লিতে প্রচার করেন সনিয়া। সেখানেই তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দাদের আশ্বাস বার্তা দেন। তাঁর অভিযোগ বিজেপি ভোট পেতে ভয় দেখাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি কর্ণাটকের সুনাম, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য কারও হুমকি মানা হবে না বলেও বার্তা দেন। কিন্তু তাঁর এই বার্তাতেই দেশ ভাগের চক্রান্ত দেখছে বিজেপি।

এমনিতেই কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তেহারে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে বিজেপির কোপে পড়েছে। তারপর সনিয়ার মুখে কর্ণাটকের সার্বভৌমত্ব শব্দ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনীতিতে। কে আন্নামালাই নামে এক নেটিজেন বলেছেন, পিএমফাই নিষিদ্ধ। নির্বাচনী লাভের জন্য পিএফআই-এর রাজনৈতিক সংগঠন এসডিপিআই আসরে নেমেছে। সেখানে কংগ্রেস এই এসডিপিআই-এর প্রার্থীকে সমর্থন করছে। এবার কংগ্রেস সার্বভৌমত্বের কথা বলে নিজেদেরই চরম উপহাসের পাত্র বানিয়েছে।

 

 

অলোক ভাট বলেছেন, রাহুল গান্ধী সম্প্রতি কেমব্রিজে আর সনিয়া গান্ধী কর্ণাটকের সার্বভৌমত্ব শব্দটি ব্যবহার করেছে। যা ভারতের ২৮টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে একটি। সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম শব্দটি খুবই হালকাভাবে ব্যবহার করছে কংগ্রেস। যা ভারতের জন্য বিপজ্জনক। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রতিবাদ জানাতে হবে।

 

 

পাল্লাভিক সিটি নামে আরও এক নেটিজেন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন, আমরা অবশ্যই আমরা SDPI থেকে সমর্থন নেব, যা PFI এর রাজনৈতিক শাখা। আমরা মিশন ২০৪৭ এ PFIকে সাহায্য করব। সেইজন্য আমরা এখন থেকেই এখন থেকেই প্রভু হনুমানজির ভক্তদের ব্যান করার পথে হাঁটছি। তিনি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে আরও বলেছেন, আমরা তখনই কাঁদব যখন সন্ত্রাসবাদীরা গ্রেফতার হবে।

 

 

অখিলেশ মিশ্র , সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ও বিজেপির একজন সমর্থক। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে। সেই কারণেই কর্ণাটকের সার্বভৌমত্বের কথা বলছে। ভারত কী সার্বভৌম্য নয়, তার একটি রাজ্য কী করে সার্বভৌম্য হবে তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কংগ্রেস আবারও ভারত ভাগ চাইছে।

 

 

অপর এক নেটিজেন বলেছেন, কর্ণাটক সার্বভৌমত্ব শব্দের মানে জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারত ভেঙে আবারও একটি দেশ কর্ণাটকের জন্ম হবে। ভারত মাতাকে কী টুকরো টুকরো করা হবে- এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। কংগ্রেসের এই জাতীয় আচরণের আবারও সমালোনচার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে তিনি।