সংক্ষিপ্ত
ছিনতাই করবে ভেবে যোদ দিয়েছিল লস্করে।
জেহাদের ভাবনা ছিল না।
তার মাথায় সেই ভাবনার বীজ পুতেছিল জঙ্গি নেতারা।
স্পষ্ট বিবরণ এল প্রাক্তন পুলিশকর্তার লেখায়।
আজমল কাসব জানত বা তাকে বোঝানো হয়েছিল ভারতে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। তাই ভারতের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া দেখে সে 'হতবাক' হয়ে গিয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়া। সম্প্রতি তিনি ২৬-১১ মুম্বই হামলা সম্পর্কে তাঁর স্মৃতি নিয়ে 'লেট মি সে ইট নাও' নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন। তাতেই এই সাড়া জাগানো তথ্য মিলেছে।
প্রাক্তন এই শীর্ষ পুলিশ কর্তা তাঁর স্মৃতিকথায় জানিয়েছেন কাসব সামান্য ডাকাতি-ছিনতাই করবে ভেবে লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি)-য় যোগ দিয়েছিল। জেহাদের কোনও ভাবনা তার মাথাতে ছিলই না। তবে, মুসলমানদের ভারতে নামাজ পড়ার অনুমতি নেই, ভারতে মসজিদগুলিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে - এইরকম সব ভ্রান্ত দারণা দিয়ে তার মাাথায় জেহাদের চারা বপন করেছিল জঙ্গি নেতারা।
রাকেশ মারিয়ার দাবি, কাসব মনে-প্রাণে বিশ্বাস করত, ভারতে মুসলমানদের নামাজ পড়ার অনুমতি নেই, মসজিদগুলি সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই, ক্রাইম ব্রাঞ্চের লকআপে থাকার সময় দিনে পাঁচবার যে আজান-এর ধ্বনি সে শুনতে পেত, তা ভাবত নেহাতই তার মনের ভুল। এই কথা জেনে পুলিশ কমিশনার তাকে একটি গাড়িতে করে মেট্রো সিনেমার কাছের এক মসজিদে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মসজিদে দিয়ে বহু মানুষকে নামাজ পড়তে দেখে কাসব বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিল।