সংক্ষিপ্ত
কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স কাশ্মীর (সিআইকে) মঙ্গলবার একাধিক জেলা জুড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়ে নবগঠিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তেহরিক লাবাইক ইয়া মুসলিম (টিএলএম)-এর সাথে যুক্ত একটি নিয়োগ মডিউল ভেঙে দিয়েছে।
কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স কাশ্মীর (সিআইকে) মঙ্গলবার একাধিক জেলা জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে। রাজ্য জুড়ে নবগঠিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তেহরিক লাবাইক ইয়া মুসলিম (টিএলএম)-এর সাথে যুক্ত একটি নিয়োগ মডিউল ভেঙে দিয়েছে সিআইকে। এই অভিযানা শ্রীনগর, গান্দেরবাল, বান্দিপোরা, কুলগাম, বুদগাম, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামা সহ বিভিন্ন এলাকা জুড়ে চালানো হয়। এই মডিউল চলত 'বাবা হামাস' নামে পরিচিত একজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হ্যান্ডলারের মাধ্যমে।
সিআইকে জানিয়েছে, "২২ অক্টোবরের ভোর রাতে কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স কাশ্মীর শ্রীনগর, গান্দেরবাল, বান্দিপোরা, কুলগাম, বুদগাম, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামা সহ একাধিক জেলা জুড়ে অভিযান চালিয়েছে। অভিযান চলাকালীন, নবগঠিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন 'তেহরিক লাবাইক ইয়া মুসলিম' (টিএলএম)-এর একটি নিয়োগ মডিউল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই গোষ্ঠীটি, যা লস্কর-ই-তৈবার (LeT) একটি শাখা বলে মনে করা হয়, 'বাবা হামাস' নামে পরিচিত একজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হ্যান্ডলার এটা পরিচালনা করত।"
গান্দেরবালে সন্ত্রাসবাদী হামলায় একজন স্থানীয় চিকিৎসক এবং ছয়জন অস্থানীয় শ্রমিক সহ সাতজন অসামরিক ব্যক্তির প্রাণহানির পর এই অভিযান চালানো হয়। রবিবার রাতে গাগাঙ্গিরে সংঘটিত এই হামলায় কাশ্মীর জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলওয়ামায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি জ্বালানোর মতো বিভিন্ন স্থানে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় মিছিল করে ন্যায়বিচার এবং হিংসার অবসান দাবি করে প্ল্যাকার্ড তৈরি করা হয়, যাতে লেখা ছিল, "পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে।"
ক্রমবর্ধমান হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা পাকিস্তানকে হামলার জন্য দায়ী করে বলেছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরে সফল ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ফলে পাকিস্তান হতাশ হয়ে পড়েছে। তাই এই ধরণের অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন যে নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশকে এই হামলার অপরাধীদের ধাওয়া করার এবং নির্মূল করার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।