সংক্ষিপ্ত

  • জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে খোলা আলোচনা চেয়েছিল পাকিস্তান
  • বদলে শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বন্ধ দরজা বৈঠক করবে
  • তবে সেখানে পাকিস্তান উপস্থিত থাকতে পারবে না
  • চিনের অনুরোধেই রাজি হয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা

প্রথমে বেজিং সফর, আর তারপরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে খোলা বৈঠক চেয়ে চিঠি - আঁটঘাট বেধেই গুটি সাজিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। আর তাতেই কিছুটা হলেও সাফল্যের মুখ দেখল পাকিস্তান। নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি জোয়ানা রোনেকা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে বন্ধ দরজা বৈঠক হবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে।

ভারত সরকার ৩৭০ বাতিল করার পর থেকে অন্তত তিনবার পাকিস্তান এই বিষয়ে নবিরাপত্তা পরিষদে খোলা আলোচনার দাবি জানায়। গত ১৩ অগাস্ট শাহ মাহমুদ কুরেশি একটি চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডাকার আর্জি জানান। খোলা আলোচনা হলে পাকিস্তানও সেখানে নিজের বক্তব্। পেশ করার সুযোগ পেত। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কোনও সদস্যেরই এতে সমর্থন ছিল না।

এই অবস্থায় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায় তাদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত চিন। খোলা বৈঠকের পাক-দাবি মানা হবে না বুঝেই বুধবার বেজিং এই বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বন্ধ দরজা বৈঠকের প্রস্তাব দেয়। শেষ পর্যন্ত তাতে সায় দিয়েছে পরিষদের সদস্য দেশ গুলি। তবে এতে পাকিস্তানের বিশেষ সুবিধা হবে তা মনে করার কারণ নেই। কারণ বন্ধ দরজা বৈঠক হওয়ার মানে, সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না পাক প্রতিনিধিরা।

রাষ্ট্রসংঘের কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচিত প্রাক্তন কুটনীতিবিদরা এতে পাকিস্তানের জয় একেবারেই দেখছেন না। তাঁদের বক্তব্য এই রকম আলোচনার আহ্বান যে কোনও দেশই করতে পারে। এই আলোচনাগুলিকে নিরাপত্তা পরিষদের সরকারি বৈঠক হিসেবেও গ্রহণ করা হয় না। একমাত্র যদি আলোচনার পর নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়, তখন কিন্তু বিষয়টি মাথা ঘামানোর মতো হয়ে উঠতে পারে।