সংক্ষিপ্ত
জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কেসিআই জিএইচএমসি নির্বাচনের পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি এনডিএ-তে যোগদান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
তেলাঙ্গনার জনসভায় বড় দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজামাবাদের জনসভায় বলেন,২০২০ সালে হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনের পর তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী দুর্নীতির কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাতে সায় দেয়ননি। দিল্লি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএর-এর প্রধান কেসিআরকে।
নিজামবাদের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কেসিআই জিএইচএমসি নির্বাচনের পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি এনডিএ-তে যোগদান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তার বিনিময় বৃহত্তর হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র পদ বিজেপিকে ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু প্রধানমমন্ত্রী তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের দুর্নীতির কারণে তিনি কেসিআর-এর প্রস্তাবে সম্মত হননি।
হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজেপি যখন ৪৮টি আসন জিতেছিল, তখন কেসিআর-এর সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। তার সেই কারণে কেসিআর বিজেপির দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। মোদী বলেন, এই নির্বাচনের আগে তিনি তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতেন, কিন্তু পরে তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি হঠাৎ করে তিনি তা করা বন্ধ করে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ
কেসিআর সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের জনগণের টাকা অন্যত্র ব্যয় করার অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বলেন, কংগ্রেস দক্ষিণ ভারতকে প্রতারণা করছে। লুট করা হচ্ছে মন্দিরের সম্পদ। কিন্তু সংখ্যালঘুদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে কর্ণাটক নির্বাচনের ভিত্তিতে বিআরএস অর্থ পাচারের চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস ও বিআরএসের আদর্শ একই। তার নীতি হচ্ছে নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং নির্বাচনের পরে ভুলে যাওয়া। তিনি বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতার জন্য পিপাসু। কর্ণাটক নির্বাচনে কংগ্রেস নেতাদের টাকা দিয়েছে বিআরএস।
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেসিআরএর দল। বিআরএসের মুখপাত্র এম কৃশাঙ্ক বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সুবিধার জন্য মিথ্যা দোষারোপ করছেন। তিনি আরও বলেছেন, পরেরবার কোনও মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁর নিজের ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন হবে।