Kedarnath temple: ২০২৫ এর মে মাসের শুরুতেই ধাম যাত্রাও শুরু। ২রা মে থেকে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খুললো যাত্রীদের জন্য।

Kedarnath temple: প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী কেদারনাথ ধাম যাত্রা করেন। তালিকায় আরও তিন ধামের যাথাও থাকে। হিমালয়ের কঠিন পরিবেশ ও ঠান্ডা উপেক্ষা করেও যাত্রীরা চার ধাম যাত্রার আশায় আসেন বহু মানুষ। এই চার ধাম যাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক প্রস্তুতিও প্রচুর। চার ধাম যাত্রার শুভ সূচনা ঘিরে আনুষ্ঠানিক আয়োজন হবে বলেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ চার ধামের বিশেষজ্ঞ প্রশাসনিক দলের (BKTC)। শুক্রবার বিকেলে বিকেটিসির প্রতিনিধিরা পৌঁছবেন কেদারনাথে সমস্ত যাত্রার বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখতে।

২০২৫ এর মে মাসের শুরুতেই ধাম যাত্রাও শুরু। ২রা মে থেকে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খুললো যাত্রীদের জন্য। আজ সকাল ৭টা থেকেই ভিড় বাড়ছে ভক্তদের, তবে এর শুভ যাত্রা শুরু হয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই। আজই খুলছে তৃতীয় ধাম তুঙ্গনাথের দরজাও। অন্যদিকে আগামী ৪ঠা মে খুলবে বদ্রীনাথের দ্বার। এবং দ্বিতীয় কেদারনাথ নামে পরিচিত মদমহেশ্বরের দরজাও খুলতে চলেছে ২১শে মে থেকে।

এ বছর কেদারনাথ মন্দির বিশেষভাবে সেজে উঠেছে। গুজরাটের ঋষিকেশের ফুল কমিটি থেকে ১০৮ কুইন্টাল ফুল এসেছে মন্দির সজ্জার জন্য। সকালে মন্দিরের দরজা খোলার সময় পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান মেনে, ঢোল - করতাল ও ভক্তদের "জয় বাবা ভোলানাথ" প্রতিধ্বনিতে ভোরে উঠেছে মন্দির প্রাঙ্গণ। পূজার সময় হেলিকপ্টার থেকে ফুলের বর্ষণও করানো হয়। সে এক স্বর্গীয় ক্ষণ। সর্ব প্রথম পূজা করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, উপস্থিত ছিলেন তার সহকারী ও গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা। এদিন মন্দিরের দ্বার খোলার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, "৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন চারধাম যাত্রা শুরু হয়েছে, আজ থেকে দুই দিন পর, ভগবান বদ্রীনাথ বিশালের মন্দিরের দরজাও খুলে যাবে এবং যাত্রা পুরোদমে শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করেছি, যাতে ভক্তদের যাত্রা নিরাপদ থাকে এবং যাত্রার সময় তাঁরা কোনও ধরণের সমস্যার সম্মুখীন না হন এবং এর জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা করেছি।" মুখ্যমন্ত্রী ধামি আরও বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী বাবা কেদারনাথের একজন বড় ভক্ত। এখানে তাঁর নামে প্রথম পুজো হয় এবং এবারও পুজো সম্পন্ন হয়েছে। ঈশ্বর তাঁকে সুস্থ রাখুন। তিনি যেন সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সফল হন।"

প্রশাসন ও ধামের তৎপরতা ও সুব্যবস্থায় প্রতি ঘন্টায় ১৪০০ জন ভক্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন, তার জন্য টোকেন ব্যবস্থাও করা হয়েছে। টোকেন বিতরণের জন্য আলাদা আলাদা ১০ টি কাউন্ডার খোলা হয়েছে, যাতে লাইনে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে না হয় যাত্রীদের। এমনকি এই চার ধাম সংলগ্ন সড়কপথ ও রেল পথ আরো সুগম করার ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। হরিদ্বার, দিল্লি এবং আশেপাশের অন্যান্য শহরগুলি থেকে যাতায়াতের জপ্ন্য বিশেষ ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থাও করেছে সরকার। অনুমান করা গেছে, আবহাওয়া ভালো থাকলে এ বছর জুন থেকে অগস্টের মধ্যে ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ কেদারনাথ সহ আরও তিন ধাম ভ্রমণে আসতে পারেন।

সারাংশ ২রা মে সকাল ৭ টায় পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হল কেদারনাথ ও তুঙ্গনাথের দরজা। এরপর একে একে খুলবে বাকি দুই ধামের দরজাও। বিশেষ দল ও প্রশাসনিক তৎপরতায় পুণ্যর্থীদের জন্য বিশেষভাবে নিরাপত্তা ও সুবিধার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এদিন ১০৮ কুইন্টাল ফুলে সেজে উঠেছে কেদারনাথ মন্দির।