সংক্ষিপ্ত

দেশে বাড়ছে ধর্মীয় ভেদাভেদ।

তারমধ্যেই ফের উজ্জ্বল হয়ে উঠল ধর্মীয় সম্প্রীতির ছবি।

হিন্দু মন্দিরে মেয়ে-র বিয়ে দিলেন এক মুসলিম দম্পতি। 

কেরলের ভগবতী মন্দিরের ঘটনা।

 

কেরলে ফের ভারতের ধর্মীয় সম্প্রীতির ছবিটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল। ১০ বছর বয়স থেকেই জন্মসূত্রে হিন্দু এক মেয়ে-কে নিজেদের মেয়ে বলেই মানুষ করেছেন মুসলিম দম্পতি আবদুল্লা ও খাদিজা। এবার তাঁরা সেই পালিতা হিন্দু মেয়ে রাজেশ্বরী-র বিয়ে দিলেন তিরুঅনন্তপূরমের ভগবতী মন্দিরে।

রাজেশ্বরীর বয়স এখন ২২। অনেক ছোটবেলায় তাঁর বাবা-মা দুজনেই মারা যান। বাকি আত্মীয়স্বজনরা কেউই তাঁর দায়িত্ব নিতে চাননি। সেই সময় তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন আবদুল্লা ও খাদিজা। নিজেদের আরও তিন ছেলে শামিম, নাজিব ও শরিফ-এর সঙ্গে রাজেশ্বরীকে নিয়ে তাঁরা দুবাই চলে যান। সেখানকার এক সংস্থায় কাজ করতেন আবদুল্লা।

মাস দশেক আগে ৪০ বছর পর দেশে ফেরেন তাঁরা। মেয়ে রাজেশ্বরীর বিয়ের জন্যই। অনেক ছেলেই তাঁরা দেখেন, কিন্তু পছন্দ হয়নি। দাবি ছিল একটিই, ছেলের মদ্যপান করা চলবে না। শেষ পর্যন্ত বিষ্ণুপ্রসাদ নামে এক ব্যক্তিকে মনে ধরে তাঁদের। আবদুল্লাদের বাড়ি থেকে ২৫৪ কিলোমিটার মতো দূরে তাঁর বাড়ি। একটি গবেষণাগারে কাজ করেন।

বিষ্ণুপ্রসাদের বাবা-মা'এর আবার দাবি ছিল ছেলের বিয়ে কোনও মন্দিরে দিতে হবে। তাই তাঁরা কানহনগড়ের মান্যোত্তু ভগবতী মন্দিরে যান। এই মন্দিরে কোনও ধর্মের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নেই। সেখানেই মেয়ের বিয়ে দেন আবদুল্লা ও খাদিজা। হিন্দু বোনের বিয়েতে খরচ করেছে তিন মুসলিম ভাই-ও। হিন্দু ধর্মমতে সব রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠান মেনেই বিয়ে হয়।