সংক্ষিপ্ত

কেরলের কোঝিকোড়-এ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটেছে ভয়ানক বিমান দুর্ঘটনা

কোভিড মহামারির আতঙ্ক ভুলে সবাই ঝাঁপিয়েছিলেন প্রাণরক্ষায়

তাসত্ত্বেও প্রাণ গিয়েছে চার-চারজন দুধের শিশুর

মৃত যাত্রীদের অন্তত একজন করোনা পজিটিভ

 

কেরলের কোঝিকোড়-এর বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাকে কেন্দ্র করেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হল। মলপ্পুরম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের অন্তত একজনের কোভিড পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছে। এছাড়া আহত ও অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যেও কেউ কেউ করোনা পজিটিভ হতে পারেন। এই আশঙ্কায় এই দুর্ঘটনার উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়া ৫০০ জন কর্মী ও অফিসারদের কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সমস্ত যাত্রীর পরীক্ষা করা হচ্ছে।

শনিবার সকালে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা, স্থানীয় বাসিন্দা, বিমানবন্দরের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং দমকলকর্মী, অ্যাম্বুলেন্সকর্মীরা, ড্রাইভার এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সকলকে একত্রিত হয়ে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু, তিনি জানিয়েছেন, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে তাঁরা কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করতে পারেননি। তাই তাঁদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং সমাজের সুরক্ষার জন্য এই কর্মীদের সবাইকে পৃথকীকরণ করে, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে।

এখনও পর্যন্ত কোঝিকোড়ের বিমান দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিমানটির দুই চালক ক্যাপ্টেন দীপক সাথে এবং ক্যাপ্টেন অখিলেশ কুমার। নিহত যাত্রীদের মধ্যে ৯ জনই কোঝিকোড়ের বাসিন্দা - রাজীবন চেকারাপরমবিল (৬১), মানাল আহমদ (২৫), শরাফউদ্দিন (৩৫), জানকী কুনোথ (৫৫), আজম মহম্মদ চেম্বাই (১), রম্যা মুরলিধরন (৩২), শিবথমিকা (৫), শেনোবিয়া (৪০), শাহিনা ভানু (২৯)। এছাড়া মলপ্পুরম জেলার - ৫ জন - শাহির জিয়াদ (৩৮),  লাইলবি কে ভি (৫১), শান্তা মরক্কত (৫৯), সুধীর ভারিয়থ (৪৫), শাইজা ফতিমা (২) এবং পলক্কড় জেলার ২জন - মহম্মদ রিয়াজ ভিপি (২৪), আয়িশা দুয়া (২) রয়েছেন।