সংক্ষিপ্ত

  • শুধু স্বামী নয়, পরিবারের অন্য পাঁচ সদস্যকে হত্যা করেছে জলি শাজু 
  • খাবারে বিষ মিশিয়ে ধীরে ধীরে হত্যা করে 
  • দুই শিশুকেও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন শাজু 
  • শিশু দুটির শরীরে সায়ানাডের বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দিয়েছে

তদন্ত যত এগোচ্ছে কেরলের সিরিয়ালকিলার জলি শাজুর কাছ থেকে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদে সিটকে জলি শাজু জানিয়েছে, পরিবারের ছয় জনকে হত্যার পাশাপাশি আরও দুই শিশুকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। শাজু জানিয়েছে, সে খাবারের সঙ্গে অল্প-অল্প করে সায়ানাইড মিশিয়ে দুই শিশু-কে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ইতিমধ্যেই ওই দুই শিশুর মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও হদরোগের কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাতেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই দুই শিশুর শরীরে সায়ানাইড বা ওই জাতীয় কোনও বিষ অল্প হলেও প্রবেশ করেছে।  

পাঁচ অক্টোবর স্বামী ও পরিবারের অন্য পাঁচ সদস্যকে হত্যার অভিযোগে জলি শাজু-কে গ্রেপ্তার করে কেরল পুলিশ। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিশেষ গোয়েন্দা দল বা সিট গঠন করা হয়। কেরলের কোজিকোড়ের গ্রামীণ এসপি কেজি সিমরন সিটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছন, ওই পরিবারের সঙ্গে হওয়া বেশ কিছু অদ্ভুত ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে জলি শাজুর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিটের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্তের সুবিধার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করা হয়েছে। কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। 

জলিকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর দুই বন্ধু এমএস  ম্যাথিউ এবং প্রাজিকুমারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আট বছর আগে জলি শাজুর  স্বামী  রয় থমাসের মৃত্যু হয়। আমেরিকায় থাকা রয়ের ভাই রোজোর অভিযোগের ভিত্তিতে শাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।  পাশাপাশি পরিবারের আরও পাঁচ সদস্যের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে সিট। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পরিবারের বাকি সদস্যদের মৃত্যুর কারণ জানতে পারা যায়। শাজু ২০০২ সাল থেকে ধীরে ধীরে পরিবারের সদস্যদের হত্যা করতে শুরু করেছিল।