সংক্ষিপ্ত
২০১২ সালে দিল্লির ছাওলা এলাকায় ১৯ বছর বয়সী এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিলো সুপ্রিম কোর্ট। এপ্রসঙ্গে সমালোচনা উঠলে আদালত জানায় ,' আদালত কোনোদিন কাউকে সন্দেহের ভিত্তিতে শাস্তি দিতে পারেনা।
২০১২ সালে দিল্লির ছাওলা এলাকায় ১৯ বছর বয়সী এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিলো সুপ্রিম কোর্ট। এপ্রসঙ্গে সমালোচনা উঠলে আদালত জানায় ,' আদালত কোনোদিন কাউকে সন্দেহের ভিত্তিতে শাস্তি দিতে পারেনা। অভিযুক্তদেরও সুষ্ঠ বিচার পাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার আছে।' ২০১৪ সালে একটি ট্রায়াল কোর্ট বিষয়টিকে অতি বিরলতম ঘটনা বলে আখ্যা দিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিলেও সুপ্রিম কোর্ট সোমবার জানায় যে আদালত কাউকেই সন্দেহের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনা এবং এক্ষেত্রেও এমন করা অনৈতিক হবে।
এপ্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানায় ,'এটা সত্যি যে জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত আসামিরা যদি শাস্তি না পেয়ে বেকসুর খালাস পায় তবে সমাজে তার একটি কুপ্রভাব পরে এমনকি ভিকটিমদের পরিবারের উপরও এতো একটা বিশেষ যন্ত্রনা বা হতাশার জন্ম দেয়। কিন্তু সন্দেহের ভিত্তিতে শাস্তি দেওয়াও কোথাও অনৈতিক। কোনো দোষীই নিতান্ত আশঙ্কার ভিত্তিতে বা নিছক অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হতে পারে না। প্রতিটি মামলাই পুরোপুরি বিশ্লেষণ করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই সকলেরই উচিত আমাদের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্পুর্ণ আস্থা রাখা। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে যে প্রসিকিউশন "যুক্তিযুক্ত সন্দেহের বাইরে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে"। , 'আদালতের কাছে অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না তাই অত্যন্ত জঘন্য অপরাধে জড়িত থাকা সত্বেও আসামিকে বেকসুর খালাস করতে বাধ্য হয়েছে আদালত ।'
শীর্ষ আদালতে বিচারের সময় অনেক স্পষ্ট ত্রুটি ধপরা পড়েছে। প্রসিকিউশন দ্বারা পরীক্ষিত ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে, ১০ জন বস্তুগত সাক্ষীকে জেরা করা হয়নি এবং অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে প্রতিরক্ষা আইনজীবী দ্বারা পর্যাপ্তভাবে জেরা করা হয়নি বলে দাবি আদালতের
আরও পড়ুন
তুতেনখামেনে সমাধি সৌধ আবিষ্কারের ১০০ বছর পূর্তি, একগুচ্ছ পরিকল্পনা মিশর সরকারের
শূন্য মাধ্যাকর্ষনে প্রজনন কি সম্ভব ?উত্তর খুঁজতে মহাকাশে বাঁদর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলো চীন