সংক্ষিপ্ত
আহমেদাবাদে সবরমতী আশ্রমে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে, রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী প্রার্থনা সভায় অংশ নেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং সিপি পি চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী আহমেদাবাদের সবরমতী আশ্রমে প্রার্থনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক মঙ্গলবার আহমেদাবাদে হয়। বৈঠকের পরই কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সবরমতী আশ্রমে যান। সেখানেই তাঁরা প্রার্থনায় অংশ নেন।
সিডব্লিউসি-র বৈঠক আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হওয়ায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিজেপির ওপর তীব্র আক্রমণ করেন এবং বলেন যে "সাম্প্রদায়িক বিভাজন" তৈরি করে দেশের মৌলিক সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরানো হচ্ছে। এআইসিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খারগে বলেন, "আজকে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে দেশের মৌলিক সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরানো হচ্ছে। অন্যদিকে, মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হাতে দেশের সম্পদ কুক্ষিগত করে শাসনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে স্বৈরাচারী একচেটিয়া আধিপত্য চলছে।"
কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ বেশ কয়েকজন জাতীয় বীরকে নিয়ে দেশে একটি "ষড়যন্ত্র" চলছে। খাড়গে বলেন, "বন্ধুরা, গত কয়েক বছর ধরে অনেক জাতীয় বীরকে নিয়ে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। "কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে একটি পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে, যাদের ১৪০ বছর ধরে দেশ সেবা ও দেশের জন্য লড়াই করার গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। এই কাজটি সেই লোকেরা করছে যাদের দেখানোর মতো কিছুই নেই। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদানের কিছুই নেই," এমনটাই বলেছেন খাড়গে।
বিজেপির ওপর আক্রমণ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, তারা নেহরু ও প্যাটেল একে অপরের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রমাণ করার ষড়যন্ত্র করছে, তবে বিপরীতে, দুই নেতার মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি বলেন, "তারা সরদার প্যাটেল ও পন্ডিত নেহরুর মধ্যে সম্পর্ক এমনভাবে দেখানোর ষড়যন্ত্র করে যেন দুই বীর একে অপরের বিরুদ্ধে ছিলেন। যেখানে সত্য হলো তারা একই মুদ্রার দুই পিঠ ছিলেন। অনেক ঘটনা ও নথি তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সাক্ষী। আমি বিশেষভাবে ১৯৩৭ সালে গুজরাট বিদ্যাপীঠে সরদার প্যাটেলের একটি বক্তৃতার কথা উল্লেখ করতে চাই। সেই সময় নেহেরুজি ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি এবং গুজরাটের যুবকরা প্রাদেশিক নির্বাচনে নেহেরুজীকে প্রচারে ডাকতে চেয়েছিল।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।