সংক্ষিপ্ত
খেলা হবে ফুটবল ম্যাচ বাতিল করে দিয়েছে গোধরা প্রশাসন। আগে অনুমতি দিলেও তা বাতিল করায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ যেন অনেকটা গোল পোস্টের মুখ বল নিয়ে গিয়েও ফিরে আসে। কারণ দিন কয়েক আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল ১৬ অগাস্ট তৃণমূল কংগ্রেস গুজরাটে পালন করবে 'খেলা হবে দিবস'। সেই উপলক্ষ্যেই একটি ফুটবল ম্যাচেরও আয়োজন করা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছিলেন গুজরাট সরকার 'খেলা হবে দিবস' পালনের অনুমতি দিলেও তা পালনের কোনও অনুমতি দেয়নি উত্তর প্রদেশ সরকার। কিন্তু ১৫ অগাস্ট সন্ধ্যার পরেই জানা যায় 'খেলা হবে দিবস' এ গোধরায় যে ফুটবল ম্যাচ খেলার পরিকল্পা ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'রাজনৈতিক চাপের কারণেই এটি করা হয়েছে।'
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'খেলা হবে ' স্লোগান তুলেছিলেন। রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও সেই স্লোগান যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তারপরেই তৃণমূল নেত্রী ঠিক করেছিলেন স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন অর্থাৎ১৬ অগাস্ট পালন করা হবে 'খেলা হবে দিবস'। গোটা দেশেই দিনটি বিশেষ ভাবে পালনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই মত গুজরাটের গোধরাতে আয়োজন করা হয়েছিল একটি ফুটবল ম্যাচের। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে গতকাল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। স্কুলগুলির অধ্যক্ষ ম্যাচ আয়োজন করতে রাজি হয়েছিলেব। কিন্তু এদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার জন্য যখন থানায় যাওয়া হয় সেই সময় হোয়াটসঅ্যাপ করে জানিয়ে দেওয়া হয় অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। গতকাল অনুমতি দেওয়া হলেও এদিন তা বাতিল করা হয়। তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে রাজনৈতিক চাপের কারণেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।
' ত্রিপুরায় বিজেপি গুন্ডা-রাজ চালাচ্ছে', দোলা সেনরা আক্রান্ত হওয়ার পরে অভিযোগ তৃণমূলের
নেতাজি একাদশ আর ভগৎ সিং একাদশ নামে দুটি দল তৈরি করে ফুটবল খেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মহামারির কারণে গুজরাটে 'খেলা হবে দিবস' পালন করার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
গর্বের স্বাধীনতা পালন ভূস্বর্গে, শ্রীনগরের মেয়রের নাচের ভিডিও ভাইরাল ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুখেন্দ শেখর রায় বলেন গোধরার তৃণমূল কর্মীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন করোনা সংক্রান্ত নিয়ম বিধি মেনেই সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হবে। তারপরেই স্থানীয় প্রশানস অনুমিত দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রশাসন পিছিয়ে আসে। বিজেপি নির্দেশেই স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন বিজেপি আরএসএস স্বামী বিবেকানন্দর কথা বলে। কিন্তু স্বামীজিও ফুটবলের অসম্ভব ভক্ত ছিলেন। একথা তারা ভুলে গেছেন।