সংক্ষিপ্ত
সংবাদ মাধ্যমকে তথ্য দিয়ে চম্পত রাই বলেন, মন্দিরের নির্মাণ কাজ চলছে যুদ্ধের ভিত্তিতে। প্রথম তলার নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পরে, মন্দিরের গর্ভগৃহে শিশু আকারে ভগবান রামের মূর্তি স্থাপন করা হবে।
রামনগরী অযোধ্যায় তৈরি হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রামলালা মন্দির। সেই বহু প্রতিক্ষিত রামমন্দির নিয়ে বড় খবর সামনে এসেছে। আজ থেকে ঠিক এক বছর পরে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মকরসংক্রান্তিতে, মন্দিরে ভগবান রামের শিশুরূপের মূর্তি স্থাপন করা হবে। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। তিনি জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে মন্দিরের প্রথম তলার নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ২০২৪ সালের মকরসংক্রান্তির মধ্যে, ভগবান রামলালাকে মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করা হবে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত নেওয়া প্রস্তুতি অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমকে তথ্য দিয়ে চম্পত রাই বলেন, মন্দিরের নির্মাণ কাজ চলছে যুদ্ধের ভিত্তিতে। প্রথম তলার নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পরে, মন্দিরের গর্ভগৃহে শিশু আকারে ভগবান রামের মূর্তি স্থাপন করা হবে।
এ পর্যন্ত প্রায় ৬০% নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে
মরিয়দা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীরামের বিশাল মন্দির তার নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই প্রস্তুত হয়ে যাবে। দ্রুত গতিতে চলছে মন্দির নির্মাণের কাজ। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, মন্দিরের গর্ভগৃহের কাজ শেষ হবে এবং দেবতা স্থাপন করা হবে। কিন্তু আপনার মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে গর্ভগৃহে কীভাবে এবং কী ধরনের ভগবান শ্রী রামের মূর্তি বসবে? এটা কি আকারে হবে? তো চলুন আজ আপনাদের বলি শ্রীরামের মূর্তি সম্পর্কে।
রামলালার মূর্তি হবে ৫ থেকে ৭ বছর বয়সী শিশুর আদলে
প্রকৃতপক্ষে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের ভবন নির্মাণ কমিটির সভা প্রতি মাসে অনুষ্ঠিত হয় এবং সভায় ছোট ছোট বিষয়গুলি অধ্যয়ন করা হয়। এই বৈঠকে ভগবান শ্রীরামের রূপ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে ভক্তরা ৩০ থেকে ৩৫ ফুট দূরত্ব থেকে তাদের দেবতার দর্শন করতে পারবেন। এছাড়া রামলালার মূর্তিটি শিশুর আদলে থাকবে ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে। সেই সঙ্গে সেই মূর্তির আঙুল, মুখমণ্ডল ও চোখ কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা শুরু করেছেন দেশের বিশিষ্ট ভাস্কররা। তবে, ট্রাস্ট অনুসারে, ভগবান শ্রীরামের মূর্তিটি ৮.৫ ফুট লম্বা হবে, যা তৈরি করতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে।
প্রতিমা হবে ভগবানের রূপের ওপর ভিত্তি করে
'নীলাম্বুজশ্যামলকোমলঙ্গন'-এর আদলে তৈরি হবে রামলালার মূর্তি। “শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট”-এর সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেছেন যে নীলাম্বুজশ্যামলকোমলাঙের আদলে ঈশ্বরের মূর্তির রূপ তৈরি করা হবে। প্রতিমার জন্য এমন একটি পাথর বেছে নেওয়া হবে, যা আকাশের রঙের। এর সাথে মহারাষ্ট্র ও উড়িষ্যার ভাস্কর্যের পন্ডিতরা আশ্বস্ত করেছেন যে তাদের কাছে এ ধরনের পাথর পাওয়া যাচ্ছে। রামলালার মূর্তির আকৃতি বানাবেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ভাস্কর। যেটিতে ওড়িশার সুদর্শন সাহু, পাশাপাশি কর্ণাটকের বাসুদেব কামাত এবং রামাইয়া ওয়াদেকর প্রবীণ ভাস্কর। ট্রাস্ট এই ভাস্করদের প্রতিমার একটি ডায়াগ্রাম তৈরি করতে বলেছে।
ভক্তরা ৩৫ ফুট দূর থেকে দেখতে পাবেন
ভাব্য মন্দিরে ৩৫ ফুট দূরত্বে হবে রামলালার দর্শন। তাই ভক্তরা সহজেই চক্ষু থেকে ভগবানের চরণ দর্শন করতে পারেন। বিজ্ঞানীরাও এ নিয়ে গবেষণা করছেন। সেই সঙ্গে আলোচনা চলছে ৫ বছরের শিশু ভগবান রাম লল্লার দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি নিয়ে। ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত মূর্তি তৈরি করে ট্রাস্টের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
চম্পত রায়ের মতে, এটাও মাথায় রাখা হবে যে- রামনবমীর দিন ভগবানের কপাল সূর্যের রশ্মির তিলক দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। তার উচ্চতা প্রায় সাড়ে আট ফুট নির্ধারণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর ওপরই শুধু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।