সংক্ষিপ্ত

সুমনিমা উদাস, লিঙ্কডেন ও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার মতে একজন সিএনএন-এর প্রাক্তন সাংবাদিক। সিএনএন ওয়েবসাইটেই এই তথ্য রয়েছে। 

৩ মে ইদের দিন দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েউঠেছিল রাজস্থানের যোধপুর। আর ওই একই দিনে ভাইরাল হয়েছে নেপালের কাঠমান্ডুর একটি নাইটক্লাবের ভিডিও। ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। চড়া সুরেই আক্রমণ করেছিলেন রাহুল গান্ধীকে।  অমিত মালব্যর অভিযোগ ছিল রাহুল গান্ধী এমন মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন যাঁরা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বিরোধী। তিনি আরও বলেছিলেন,  রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছে নেপালের কূটনীতিকের মেয়ে সুমনিমা উদাস। তাঁর বিয়ের পার্টিতে যোগ দিতে নেপালে গেছেন রাহুল গান্ধী। এই পরিবারটি উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু এলাকাকে নেপালের অংশ হিসেবে দাবি করে। তারপরই অমিত মালব্য বলেছেন চিন থেকে নেপাল পর্যন্ত রাহুল গান্ধী এমন মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন যারা ভারতের অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। 

কিন্তু কে এই সুমনিমা উদাস? 
সাংবাদিক
সুমনিমা উদাস, লিঙ্কডেন ও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার মতে একজন সিএনএন-এর প্রাক্তন সাংবাদিক। সিএনএন ওয়েবসাইটেই এই তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য অনুসারে উদাস ২০১৪ সালের মার্চে নারী ক্ষমতায়নের জন্য সাংবাদিকতা পুরষ্কার  পেয়েছেন। তিনি সেই বছর সেরা সাংবাদিক হয়েছিলেন।  ভারতীয় গ্রাম দাসত্বের বিষয়ে রিপোর্ট করার জব্য তাঁকে ২০১২ সালে একটি সিনে গোল্ডেন ঈগল পুরস্কার সম্নান প্রদান করা হয়েছিল। সুমানিমা উদাস সিএনএন ইন্টারন্যাশানালের হয়ে দিল্লিতে সাংবাদিকতা করছেন। ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিষেব সংক্রান্ত বিষয়ে রিপোর্ট করতেন। দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলারও রিপোর্ট করেছিলেন তিনি। 

পড়াশুনা
লি ইউনিভার্সিটি থেকে সাংবাদিকতার ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে অক্সফোর্ট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে জেন্ডার বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য বছরের সেরা সাংবাদিক হিসেবে পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। 

পরিবার 
সুমানিমা উদাসের বাবা ভীম উদাস। তিনি নেপাল সরকারের কূটনৈতিক। মায়ানমারে নেপালের রাষ্ট্রদূত তিনি। ভীম উদাস জানিয়েছেম রাহুল গান্ধীকে লুমানিমার বিয়েতে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল। মঙ্গলবার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। বৃহস্পতিবার ছিল রিসেপসন। নেপালের কাঠমান্ডুর হোটেল ম্যারিয়েটে সব বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। 

যদিও নেপালের সংবাদপাত্র কাঠমান্ডু পোস্টে রাহুল গান্ধীর সফরসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান হয়েছে। কিন্তু সেখানে ভিডিও প্রসঙ্গে কোনও কথা উল্লেখ করা হয়নি। 

রাজনৈতিক তরজা
বিজেপির একাধিক নেতা ও নেত্রীর রাহুল গান্ধীর নাইট ক্লাবে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের কথায় কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থান যখন জ্বলছে তখন সেই দলের নেতা বিদেশে পার্টি করছেন। রাজনীতির থেকে পার্টিই রাহুল গান্ধীর বেশি পছন্দ বলেও দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা। যদিও পাল্টা আসরে নেমেছে কংগ্রেস। তারাও বিজেপি নেতামন্ত্রীদের একাধিক ছবি প্রচার করছে যেখানে তাদের বিজেদে পার্টি করতে দেখা গেছে।