সংক্ষিপ্ত
বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলা সংরক্ষণ বিলের এখনও অনেক পথ বাকি। কারণ প্রথমে আদমশুমারি এবং তারপর আসন সীমানা হবে। দুটি বিষয়ই নারী সংরক্ষণ বিলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এ কারণে আইন হওয়ার পরও নারী শক্তি বন্দন আইন বাস্তবায়নে সময় লাগবে।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন, মোদী সরকার অবশেষে ২৭ বছর ধরে আটকে থাকা মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করেছে। লোকসভার পর রাজ্যসভায়ও সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় নারী শক্তি বন্দন আইন। ২১৪ জন সদস্য বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন, একটি ভোটও এর বিপক্ষে দেওয়া হয়নি। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়। এখন এই বিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠানো হবে। যেখানে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এটি আইনে পরিণত হবে। কিন্তু এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠছে আইনটি তৈরি হওয়ার পর তা বাস্তবায়নে সরকার কি কোনো বাধার সম্মুখীন হবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলা সংরক্ষণ বিলের এখনও অনেক পথ বাকি। কারণ প্রথমে আদমশুমারি এবং তারপর আসন সীমানা হবে। দুটি বিষয়ই নারী সংরক্ষণ বিলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এ কারণে আইন হওয়ার পরও নারী শক্তি বন্দন আইন বাস্তবায়নে সময় লাগবে। উল্লেখ্য, আদমশুমারি এবং সীমানা উভয়ই অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। তাদের গতি বেশ ধীর। যদিও বলা হচ্ছে আদমশুমারি-২১ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, তবে তা যাচাইয়ে অনেক সময় লাগবে। আদমশুমারি শেষ হওয়ার পর সীমানা নির্ধারণের কাজ করা হবে। সামগ্রিকভাবে, মহিলা সংরক্ষণ আইন ২০২৯ সালের পরেই কার্যকর করা হবে।
আদমশুমারি কবে শুরু হবে?
২০২১ সালে দেশে আদমশুমারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীর কারণে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। তারপরে এই বছরের জুনে, ভারতের আদমশুমারি রেজিস্ট্রার জেনারেল ১ জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে প্রশাসনিক সীমানা পুনর্নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন। এটি উল্লেখযোগ্য যে প্রশাসনিক সীমানা নির্ধারণের পরেই আদমশুমারি পরিচালিত হবে। এতে অফিসারদের বলা হবে, এই সীমা থেকে ওই সীমা পর্যন্ত গুনতে হবে। এই সীমানাগুলি জেলা, তহসিল, শহর এবং গ্রামের সাথে সম্পর্কিত। ততদিনে দেশে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। বর্তমানে আদমশুমারি পরিচালনার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
মহিলা সংরক্ষণ আইনে কী সুবিধা হবে?
মহিলা সংরক্ষণ আইন কার্যকর হওয়ার পরে, লোকসভা এবং বিধানসভা আসনে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হবে। এতে দেশের রাজনীতিতে মহিলাদের সংখ্যা বাড়বে। বর্তমানে, ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় মহিলা সদস্যের সংখ্যা ৮২, যা এই আইন কার্যকর হওয়ার পরে ১৮১ জনে উন্নীত হবে। এছাড়া রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের সংখ্যাও বাড়বে। এই আইনে SC এবং ST মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণও দেওয়া হয়েছে।