সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নানাবিধ পরীক্ষা নিরীক্ষা চালু করেছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার দিনভর আরও একাধিক পদ্ধতি কার্যকরী করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
চাঁদের মাটিতে ধীরে ধীরে পড়ছে সূর্যের আলো। শুক্রবার সকাল থেকেই অ্যালার্ম বাজছে ইসরোর। তবে কি এবার দীর্ঘ নির্দ্রার ভঙ্গ হবে চন্দ্রযান-৩ -এর। ইসরোর বিজ্ঞানীদের এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের সঙ্গে কি নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে? বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নানাবিধ পরীক্ষা নিরীক্ষা চালু করেছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার দিনভর আরও একাধিক পদ্ধতি কার্যকরী করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
ইসরোর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ দেসাই এবিষয় জানিয়েছেন,'-১২০ থেকে -২০০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল রাতের চাঁদের তাপমাত্রা। ফলে ১৪ দিনের মাথায় স্লিপ মোডে পাঠানো হয়ছিল ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে। ২০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ধীরে ধীরে চাঁদে আবার সূর্যালোক পড়তে শুরু করেছে। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্য সোলার প্যানেলগুলি চার্জ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা আবার ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হব।'
গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটি ছুঁয়েছিল চন্দ্রযান-৩। তারপর থেকেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে হেঁটে বেড়াচ্ছিল রোভার প্রজ্ঞান। গত ১৪ দিন আগে চাঁদের রাত্রি দশা শুরু হওয়ার পর থেকেই ঘুমিয়ে আছে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। এবার চন্দ্রযান চাঁদের ১৪ দিনের দিন সময়কালে কি ফের কোনও মিরাকেল হবে? সকলকে চমকে দিয়ে কি আবার জেগে উঠবে ইসরোর চন্দ্রদূত? এবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন চন্দ্রযান ৩-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর। সরোর চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর পালানিভেল ভিরামুথুভেল বলেন,'চাঁদের রাত বড় নিষ্ঠুর। চাঁদে রাত নাম্লে আবহাওয়াও ভয়াবহ রূপ নেয়। তাপামাত্রা নেমে যায় -১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই মারাত্মক ঠান্ডায় ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের কলকব্জা কতটা ঠিক থাকবে সেই নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।'