সংক্ষিপ্ত
প্রজাতন্ত্র দিবসেও পতাকা উত্তোলন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসেও জাতীয় পতাকা তোলা হয়।
তবে এই দুই দিনের পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য রয়েছে।
কী সেগুলি জানেন?
প্রতি বছরের মতো এই বছরও রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সারা দেশে মহা ধুমাধামে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হচ্ছে। এ বছর দেশের ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রজাতন্ত্র দিবসেও প্রতিবার স্বাধীনতা দিবসের মতোই পতাকা উত্তোলন করা হয়। নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারগুলি, স্কুল-কলেজ, অফিস-আাদালত থেকে পাড়ায় পাড়ায় এই দুই দিনে জাতীয় পতাকা তোলা হয়। তবে এই দুই দিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য রয়েছে।
পতাকা উত্তোলন / উন্মোচন-এর পার্থক্য
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। ওই দিন ব্রিটিশ ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সেই প্রথা মেনে এখনও ১৫ অগাস্ট তেরঙ্গা পতাকা নীচ থেকে দড়ি টেনে উপরে তোলা হয়। তাই একে পতাকা উত্তোলন বলা হয়।
আর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি সংবিধান কার্যকর করা হয়েছিল। ততদিনে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা উপরেই উড়ছে। তাই এই দিন আর পতাকা উত্তোলন করা হয় না। পতাকাটি স্তম্ভের উপরেই বাঁধা অবস্থায় থাকে। নিচ থেকে টেনে সেই বাধনের ফাঁস খুলে দেওয়া হয়। তাই এই দিন পতাকা উত্তোলন নয়, পতাকাটি উন্মোচন করা হয়।
পতাকা উত্তোলন করেন কে?
১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পতাকা উন্মোচন করেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী দেশের রাজনৈতিক প্রধান, আর রাষ্ট্রপতি হলেন সাংবিধানিক প্রধান।
কোথায় পতাকা উত্তোলন হয় ?
প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় লালকেল্লা-য়। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর নয়াদিল্লির রাজপথ-এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন আয়োজিত হয়েছিল। সেই প্রথা মেনে আজও রাজপথ-এই প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উন্মোচন করা হয়।