সংক্ষিপ্ত
কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দিলেন লিউট্যানেন্ট জেনারেল অসিত মিস্ত্রি।
৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্য়ারেডে তিনিই হলেন কমান্ডার।
সেকেন্ড ইন কমান্ড হলেন মেজর জেনারেল অলোক কাকের।
আর কী কী হল নয়াদিল্লির রাজপথ-এ?
রবিবার (২৬ জানুয়ারি), ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল উদযাপন অনুষ্ঠানে, দিল্লির রাজপথ-এ প্য়ারেড কমান্ডার হিসেবে কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দিলেন লিউট্যানেন্ট জেনারেল অসিত মিস্ত্রি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দিল্লি এলাকার এই জেনারেল কমান্ডিং অফিসার অতি বিশিষ্ট সেবা পদক, সেনা পদক, বিশিষ্ট সেবা পদক-এ ভূষিত। এছাড়া প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওযাজে সেকেন্ড ইন কমান্ড হলেন দিল্লি এলাকার চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল অলোক কাকের।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ শুরু হয়। প্রথমেই জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে ২১টি তোপধ্বনিতে সেনা সম্মান প্রদর্শন করা হয়। সেনার গোলন্দাজ বাহিনী ৭টি কামান থেকে ৩বার করে তোপ দাগে। ২.২৫ সেকেন্ড পর পর তোপ দাগা হয়, যাতে জাতীয় সঙ্গীতের পুরো ৫২ সেকেন্ড সময়টাই তোপধ্বনি চলে।
এছাড়া, প্রায় ৯০ মিনিট ধরে চলা অনুষ্ঠানে এদিন ছিল, এমআই-১৭ যুদ্ধবিমান ও রুদ্র সশস্ত্র হেলিকপ্টারের ফ্লাইপাস্ট, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক বিভিন্ন সাজসজ্জার প্রদর্শনী, ভারতীয় সেনার ১৬টি বাহিনীর কুচকাওয়াজ, আধাসেনা, দিল্লি পুলিশ, এনসিসি, এনএসএস ও আরও ১৩টি মিলিটারি ব্যান্ডের কুচকাওয়াজ। চলতি বছরের সেনা দিবসে প্রথম মহিলা সেনা আধিকারিক হিসেবে কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেওয়া ক্যাপ্টেন তানিয়া শেরগিল এদিন সিগনাল কর্পস বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন।
এছাড়া বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২২টি ট্যাবলো এদিনের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ততারপর ছিল স্কুল শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে এদিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সিআরপিএফ-এর মহিলা বাহিনীর মোটরবাইক-এর নানান কসরতের প্রদর্শনী।