সংক্ষিপ্ত
চিনের চাপে রাখতে ৩টি বিষয়ে জোর
আরও নজরদারী বাড়াতে হবে
ব্যবহার করতে হবে উন্নত প্রযুক্তি
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় জোর
বাড়াতে হবে পর্যটক সংখ্যা
সীমান্তে যুদ্ধ প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি সমস্যা মেটাতে চলছে আলোচনাও। সোমবারই গলাওয়ান সীমান্তের ওপারে মোলডোতে ভারত ও চিনের সেনা প্রধানরা বৈঠক করেছিলেন। বৈঠক ইতিবাচক ছিল বলেও দাবি করেছে দুই পক্ষ। পাশাপাশই দুই দেশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ঐক্যমত্ত হয়েছে। কিন্তু সেই পদক্ষেপ কতটা ইতিবাচক হবে তা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন রয়েছে। সমর বিশেষজ্ঞদের কথায় সীমান্ত ইস্যুকে এখনও হালকাভাবে নিতে নারাজ ভারত।
সমর বিশেষজ্ঞদের কথায় সীমান্তে ভারতীয় সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি নজরদারী, যোগাযোগ আর জনসংখ্যা- এই তিনটি ইস্যুতে হাতিয়ার করেই চিনের বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরি করতে পারে ভারত। কারণ বর্তমানে লাদাখ সীমান্তে ভারতের বেশ কিছুটা অংশ চিন দাবি করেছে। আর সেই দাবি নস্যাৎ করতে গিয়েই চিনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে ভারতীয় সৈন্যরা। আর সেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেই ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ ভারতীয় জওয়ানের। যার মধ্যে ছিলেন কর্নেল বি সন্তোষ বাবুও। কিন্তু এরপরই ভারত সীমান্তে নজরদারী আরও বাড়িয়েছে বলেই সেনা সূত্রের খবর।
সাইবার যুদ্ধে 'বিশ্বগুরু'র ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায় চিন, চিনের প্রথম লক্ষ্য কী ভারত ...
পেট্রোলের থেকেও দামি হল ডিজেল, টানা ১৮ দিন ধরে মূল্যবৃদ্ধি জ্বালানি তেলের ...
নাজরদারী- সমর বিশেষজ্ঞদের কথায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সীমান্ত রণকৌশল সাজানোর ওপর জোর দিতে হবে ভারতকে। ইতিমধ্যেই সেই দিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। ইজরাইলের সেনার মতই নাইট ভিশন ক্যামেরা বসান হয়েছে। যা সীমান্তের ওপারে চিনা সেনাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে সক্ষম। ব্যাবহার করা হচ্ছে তৃতীয় প্রজন্মের থার্মাল ইমেজিং প্রযুক্তি। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বদা সীমান্তে নজরদারী চালান হচ্ছে। যাতে সীমান্তে যেকোনও অবৈধ কার্যকলাপ হলেই তা রুখে দিতে সক্ষম হয় ভারতীয় সেনা।
যোগাযোগ- প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রণকৌশল সাজানোর এটিও একটি গুরুত্বপূর্ব দিক। সমর বিশেষজ্ঞদের কথায় এই ক্ষেত্রে চিনের থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে ভারত। কারণ হিমালয় অঞ্চলে ইতিমধ্যে ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে চিন। যার কারণে দ্রুত এক জায়গার খবর অন্যজায়গায় পৌঁছাতে পারে। তাই আগামী সময়ের মধ্যে ভারতকে ৫জি প্রযুক্তির দিকেই হাঁটতে হবে। আর তা হলেই ভারতীয় সেনা বাহিনী যুদ্ধের ক্ষেত্র অনেকটাই সুবিধে পাবে।
দূর্ষিত জলে করোনাভাইরাসের জিন, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের প্রশংসায় বিশ্ব .
জনসংখ্যা- জনমাসন বর্জিত কোনও একটি এলাকা নিজের বলে দাবি করার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড় ঘেরা লাদাখের লোকসংখ্য়া খুবই কম। তাই এলাকাকে মাথায় রেখেই পর্যটনকেন্দ্র তৈরি করা। আর বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ আরও স্বচ্ছান্দ্য করে দেওয়া জরুরি সরকারের। যদি তাই হয় তাহলে শুধু দেশ নয় বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরাও জানতে পারবে কতটা এলাকা ভারতের। আর কতটা এলাকা চিনের। কিন্তু দুর্গম লাদাখে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলেও তার বিস্তৃতি ছিল কম। আগামী দিনে সেই দিকে নজর রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।