সংক্ষিপ্ত
গালওয়ান নিয়ে সুর নরম চিনের
গালওয়ান থেকে সেনা সরারে রাজি চিন
সুত্রের খবর প্যাংগং অবস্থানে অনড়
প্যানগং-এ টহলদারি বাড়াচ্ছে ভারত
পূর্ব লাদাখ সীমান্ত সমস্যা সামাধেনে মঙ্গলবার চুসুলে সামরিক বৈঠকে বসেছিল ভারত ও চিন। প্রায় ১২ ঘণ্টার ধরে চলে সেনা কর্তাদের বৈঠক। এর আগেও দুবার ভারত ও চিন সীমান্ত সমস্যা সামাধানে সামরিক বৈঠকে বসেছিল। গতকালের বৈঠক ছিল তৃতীয় দিনের বৈঠক। সেনা সূত্রে খবর ম্যারাথন বৈঠকের পরেই সীমান্ত সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। গ্যালওয়ান সীমান্ত নিয়ে কিছুটা হলেও সুর নরম করেছে চিন। কিন্তু নতুন করে প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকায় সমস্যা তৈরি করেছে লালফৌজ। সূত্রের খবর প্যানগং লেক সংলগ্ন এলাকার অধিকার ছাড়তে চাইছে না চিন।
সেনা সূত্রের খবর, ১৪, ১৫ আর ১৭ নম্বর পেট্রোলিং পোস্ট এলাকায় ভারতের দাবি করা অঞ্চল থেকে প্রায় একশো মিটার সেনা সরাতে রাজি হয়েছে চিন। এই তিনটি পেট্রোলিং পোস্টই গালওয়ান উপত্যকা থেকে হটস্প্রিং পর্যন্ত এলাকায় বিস্তৃত। তবে সরকারি সূত্র আরও জানাচ্ছে প্যাংগং লেক এলাকার সমস্যা নিয়ে এখনও কোনও রফা সূত্রে আসতে পারেনি দুই দেশ। সূত্রের খবর এই এলাকা নিয়ে কোনও রকম নমনীয়তা দেখায়নি চিনা সেনা কর্তারা।
গত ৫ মে প্যাংগং লেক একায় প্রথম ভারতীয় ও চিনা সেনারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের সৈন্যরাই কমবেশি আহত হয়। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকরা কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। কিন্তু মে মাসের শুরু থেকেই এই এলাকায় টহলদারী বাড়িয়েছে চিনা সেনা। নিয়ে আসা হয়েছে অত্যাধুনিক বোট। ভারতীয় সেনার অভিযোগ বেশ কয়েকবার ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশও করেছে চিনা সেনা। বর্তমানে প্যানগং লেকের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা দাবি করছে বেজিং। তাই ১২ ঘণ্টার বৈঠকের পরেও এই এলাকা নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি।
তবে ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর এখনও হার মানতে রাজি নয় তারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই প্যাংগং-এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উচ্চ শক্তি সম্পন্ন এক ডজন নৌকা। প্যানগং লেকে টহল দেওয়ার জন্য এগুলি সেনা কর্মীরা ব্যবহার করবে বলেও জানান হয়েছে সূত্রের তরফে। নৌবাহিনীর তরফে জানান হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে স্টিলের ভেসেলগুলি নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে সি-৭ হেভি লিফ্লাটর বোয়িং বিমান। আকাশপথে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব সেই জট কাটিয়ে তোলা হবে বলেই আশাবাদী সেনা কর্তারা। প্যানগং লেকে চিনা সেনাদের টহলের জন্য অনেক আগে থেকেই মজুত করে রাখা হয়েছিল ৯২৮ বি ভেসেল।
দিল্লি সূত্রে খবর পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েই কড়া নজরদারী চালানো হবে। প্রয়োজনে মোতায়েন থাকবে ভারতীয় জওয়ানরাও। ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে বিমান ও নৌবাহিনীকেও। কিন্তু ভারত কোনও রকম অগ্রাসী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। পরিস্থিতির দিকে সদা সতর্ক নজর রাখা হবে বলেই জানান হয়েছে সেনা সূত্রে।